কৃষিভিত্তিক ১২টি কমিউনিটি রেডিও আসছে। এসব রেডিও চালুর জন্য তরঙ্গ (স্পেক্ট্রাম) বরাদ্দ দিতে সিদ্ধান্তও হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১২টি কমিউনিটি রেডিও স্থাপনের জন্য তরঙ্গ বরাদ্দের বিষয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এবং পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।
কমিশন বৈঠক সূত্র জানায়, কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১২টি কমিউনিটি রেডি পরিচালনার জন্য এফএম ৮৭-১০৮ মেগাহার্টজ ব্যান্ড থেকে প্রয়োজনীয় তরঙ্গ বরাদ্দের বিষয়টি কমিশনের অনুমোদনের নিমিত্ত সুপারিশ করা হলো।
জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি তথ্য সার্ভিস কমিউনিটি রেডিও পরিচালনা করবে। দেশের প্রথম কৃষিভিত্তিক কমিউনিটি রেডিও (এফএম ৯৮.৮) চালু হয় বরগুনার আমতলীতে। কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালিত হয় এই রেডিওতে। নতুন রেডিওগুলো চালু হলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা উপকৃত হবেন। স্থানীয় কৃষির হালচাল, আবহাওয়ার খবর, রবিশস্য, ধান ইত্যাদির বিভিন্ন খবর পাবেন। ফলে এই রেডিও থেকে সরাসরি কৃষক ও কৃষির সঙ্গে জড়িতরা সুফল ভোগ করবেন।
প্রসঙ্গত, দেশে ২০টি সাধারণ কমিউনিটি রেডিও চালু রয়েছে। দেশের ১৯টি উপজেলায় এই রেডিও স্টেশনগুলোর অবস্থান। এরমধ্যে শুধু বরগুনা জেলাতেই রয়েছে ২টি কমিউনিটি রেডিও স্টেশন।
কমিউনিটি রেডিও হলো একটি বিশেষায়িত রেডিও স্টেশন। এই রেডিও স্টেশনগুলোর অবস্থান দেশের বিভিন্ন জেলায়। একটি নির্দিষ্ট কমিউনিটির লোকজনের হাসি-আনন্দ, গল্পগাথা, বিনোদন, উন্নয়নের সব খবর স্থানীয় ভাষায় প্রচার করা হয়। এতে কাজ করেন নির্দিষ্ট ওই এলাকার লোকজন।
দেশের কমিউনিটি রেডিও নিয়ে কাজ করে বিএনএনআরসি (বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন)। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম বজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি কৃষিভিত্তিক কমিউনিটি রেডিও আসছে। বিস্তারিত এখনও কিছু জানি না।
বর্তমানে চালু থাকা কমিউনিটি রেডিও সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিউনিটি রেডিওগুলো খুব ভালো অবস্থায় নেই। বিজ্ঞাপনের সংকট রয়েছে। বিজ্ঞাপনগুলো চলে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিজ্ঞাপন স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ায় রেডিওগুলোর আয় আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় এগুলোর টিকে থাকায় কষ্টকর হয়ে গেছে। তিনি মনে করেন, অন্যান্য রেডিওর মতো কমিউনিটি রেডিওরও শ্রোতা কমে যাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তিও আসছে। ফলে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারলে কমিউনিটি রেডিওর শ্রোতা নতুন করে তৈরি হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে এ এইচ এম বজলুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত ৩২টা কমিউনিটি রেডিও লাইসেন্স পেয়েছে। চালুর অপেক্ষায় থাকা ১২টি এখনও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে তরঙ্গ বরাদ্দ পায়নি। বরাদ্দ পেলেই রেডিও স্টেশনগুলো চালু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।