কুমিল্লা জজ কোর্টে এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মামলার বাদী সুমন নামের এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন আসামিরা। উপস্থিত জনতা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত যুবক হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দি এলাকার সমুন মিয়া । এ ঘটনায় উপস্থিত জনতা ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। আটক দুজন একই এলাকার মতিন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেন।
এ দিকে সুমনকে মারধর করার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, আসামিদের হামলায় মামলার বাদী সুমন মারা গেছে বলে ফেসবুকে প্রচার করা হয়। তবে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মহিনুল ইসলাম আহত সুমন মিয়া শঙ্কামুক্ত আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার গাজী আরিফুল ইসলাম বলেন, সুমন নামের ওই ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর। তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়েছে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।
আহত সুমনের বড় বোন ইয়াসমিন আরা বেগম জানান, গত ১৫ জানুয়ারি জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনায় প্রতিবেশী মতিন ও সাদ্দামের বাবা খালেক মিয়াসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সুমন।
এ ঘটনার জেরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সুমনের বাবা দৌলত মিয়াকে পেটায় আসামিপক্ষ। এ ঘটনায় আবার থানায় অভিযোগ করে উভয় পক্ষ। এসব মামলায় গতকাল আসামিরা আদালতে আইনি পরামর্শ চাইতে এলে সুমন তাদের সামনে পড়েন। একপর্যায়ে আসামিপক্ষ ও তাদের সাথে থাকা লোকজন সুমনকে এলাপাতারি মারতে থাকলে সে অচেতন হয়ে পড়েন।
এ সময় আদালতে উপস্থিত লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে ও হামলাকারী মতিন ও সাদ্দাম নামের দুজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, যারা মামলার বাদী সুমনকে মেরেছেন, তাদের মধ্যে দুজনকে আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুমন বা তার পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে।