ঝিনাইদহ পৌরসভা ও দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইউপির দুটি হলো টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের সব পদ এবং বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে একটি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপারে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আর টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিমের পক্ষে বক্তব্য প্রদানকারী ব্যক্তি মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রবিবার (১২) নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই সব নির্বাচন স্থগিত থাকবে।
ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিমের পক্ষে মধুপুর উপজেলাধীন মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম ঘোষণা দেন, ‘টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলাধীন অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকায় যারা ভোট দিতে নারাজ, দয়া করে কেন্দ্রে আসবেন না। আমরা আশেপাশেই অবস্থান করব। এখানে ২৪০০ ভোট রয়েছে, যদি দুই হাজার ভোট কাস্ট হয়, আমরা দুই হাজার ভোটই পেতে চাই’। তার এমন বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা নির্বাচন বিধিমালা ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী অপরাধ। এজন্য মধুপুর উপজেলাধীন মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়।