আমার হৃদয়ে অনেক রক্তক্ষরণ। আমি মানসিকভাবে সুস্থ না। অনেকটাই ভেঙে পড়েছি। কারণ আমার বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজনসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধার কবরে শ্মশানের মাটি এনে রাখা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় রাইফেল ক্লাবে ফতুল্লা ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান একথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আমাদের পূর্ব পুরুষদের অনেক অবদান আছে। আমরা সে হিসেবে অনেক ঠুনকো। যখন তাদের কবর নিয়ে এসব ঘটনা ঘটে তখন কষ্ট লাগে। সেই কষ্টের দাগ এখনও শুকায়নি। জানি না কবে শুকাবে। ঘটনার পর সিটি করপোরেশন একটা প্রেস রিলিজ দিলো। কিন্তু সেখানেও মিথ্যার আশ্রয়। সেই ঘটনার মানসিক যন্ত্রণা আমি এখনও ঘোচাতে পারিনি। তাই মনটা বেশি ভালো না।’
তিনি আরও বলেন, পাড়া-মহল্লার পরিবেশ পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে হবে। যাতে মানুষ রাত ২টার সময়ও বাড়ির বাইরে গিয়ে নিরাপদবোধ করেন। মা-বোনেরা যেন এলাকাতে নিরাপদে থাকেন। আমি চাই এমন কিছু করে যেতে যাতে মানুষ মৃত্যুর পর অন্তত চোখের পানি ফেলে।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা ও যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।