রাজধানীতে অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম জিল্লুর রহমান জেলিন।১২ অক্টোবর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
গ্রেফতারের পর তার হেফাজত হতে বাংলাদেশ পুলিশের র্যাংক ব্যাজ, বাংলাদেশ পুলিশের লোগো ও পুলিশ মনোগ্রাম সম্বলিত নেভি ব্লু রংয়ের একটি পুলিশের হাফ হাতা শার্ট, নেভি ব্লু রংয়ের পুলিশের একটি ফুল প্যান্ট, বাংলাদেশ পুলিশের মনোগ্রাম সম্বলিত চামড়ার বেল্ট, কালো রংয়ের টিউনিক ক্যাপ একটি, জিল্লুর নামীয় একটি নেইম প্লেট, একটি পুলিশ সার্ভিস টাই, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদা এর প্রশিক্ষণ সিডিউল ০২ পাতা, একটি itel it5617 বাটন মোবাইল ও একটি orange B6 মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, প্রতারক জিল্লুর অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে জনৈক মোঃ শহীদুল ইসলাম এর কাছ থেকে ১০,৬৫,০০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। ভিকটিম শহিদুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১১ অক্টোবর, ২০২১ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা হতে প্রতারক জিল্লুকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত জিল্লুর ১৯৯৯ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাস করেন। সে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যে নিজেকে অ্যাডিশনাল এসপি হিসেবে পরিচয় দিতো। প্রতারক জিল্লু নিজেকে অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিলেও তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া র্যাংক ব্যাজ ছিল এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তার। সে নিজেকে অ্যাডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে ভিকটিম শহীদুল ইসলাম এর কাছ থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও পুলিশের কনস্টবলে চাকরি দেয়ার কথা বলে অনেকের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রেফতারকৃত জিল্লুর নিজেকে পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
গোয়েন্দা গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমানের সার্বিক তদারকিতে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশ টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্লাহ এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।