দুই শতাধিক হারানো মোবাইল উদ্ধার করে একাধিকবার পুরস্কৃত হয়েছেন ডিএমপির নিউ মার্কেট থানার এএসআই মাসুদ রানা।
জানা যায় ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউমার্কেট থানায় মোবাইল হারানো জিডি বা বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করে পুলিশ বাহিনী এমনকি সাধারণ জনগণের নিকট থেকেও পেয়েছেন একাধিকবার পুরস্কার।
ডিএমপির নিউমার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ স. ম. কাইয়ুম বলেন, এএসআই মাসুদ রানা প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেক দক্ষ। এজন্য থানায় মোবাইল হারানো সংক্রান্ত জিডি হলে ডাক পড়ে এএসআই মাসুদ রানার। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে নিজ দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে অনেক পরিশ্রম করে মরুভূমির মধ্য থেকে সুই খুঁজে বের করেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গত অক্টোবর, ২০২০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত এএসআই মাসুদ রানা বিভিন্ন ব্রান্ডের ২৩০টি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয়া কয়েকটি ঘটনায় ২৬৫০০ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এএসআই মাসুদ রানা আজ বৃহস্পতিবারও (২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১) বিকাশের মাধ্যমে খোয়া যাওয়া ২৫০০০ টাকা কুড়িগ্রাম থেকে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এএসআই মাসুদ রানা নাগরিক খবরকে বলেন, থানাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউমার্কেট এলাকাধীন হওয়ায় বেশিরভাগ মোবাইল হারানোর জিডি হয় ছাত্র ও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের। আমি সবগুলোই সমান গুরুত্বের সাথেই তাদের হারানো মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করি।
তিনি বলেন, অনেক দামি জিনিস হারানোর চাইতে মোবাইল হারানোর কষ্ট অনেক বেশি। কেননা মোবাইলে প্রয়োজনীয় নম্বর থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। জিডি করার পর ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফোন দিলে তারা অনেকে বিশ্বাসই করতে চান না। মোবাইল নেওয়ার সময় অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
কারও হারানো মোবাইল উদ্ধার করে দিতে পারলে তখন নিজের কাছে অনেক ভাল লাগে। মনে হয় আমি পুলিশ হয়ে দেশের জন্য একটু হলেও কাজ করতে পারছি। হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেয়ায় ডিএমপি কমিশনার মহোদয় আমাকে সাতবার পুরস্কৃত করেছেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষও আমাকে স্নেহ ভালবাসা দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন, বলেন এএসআই মাসুদ রানা।
এএসআই মাসুদ রানা ২০০৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। এরপর ২০১৫ সালে এএসআই পদে পদোন্নাতি পান। নিউমার্কেট থানায় দায়িত্ব পালন করছেন ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট থেকে। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ি। তার বাবা মৃত আনিসুর রহমানও ছিলেন একজন পুলিশ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা।