1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ক‌রে চাচা রাজধানীর কাকরাইলে সভা সমা‌বেশ নি‌ষিদ্ধ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৪ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের কমিটি অনুমোদন শোক সংবাদ: নারায়ণগ‌ঞ্জের রিটন দে আর নেই সারজিস ও হাসনাতকে রংপু‌রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা জাতীয় পার্টির নারায়নগঞ্জের কালিরবাজার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সাবেক ছাত্র দলের সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবীতে নগরীতে বিক্ষোভ ও মিছিল। দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না : সাকি।বিস্তারিত ভিডিও তে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছেন প্রধান উপদেষ্টা সোনাইমুড়ী উপজেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ

জাতিসংঘ সদর দপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা

নাগরিক খবর অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ মে, ২০২২
  • ৩৩৮ বার পঠিত

‘জনগণের অংশীদারত্বেই শান্তি ও সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্যে রোববার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২২। বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত।

নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সেবাসহ নানান সেবামূলক কাজ করছেন বাংলাদেশ। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। আবার পুরুষের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরাও বেশ কদিন ধরে শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।

নারীরা এরই মধ্যে আসীন হয়েছেন বাহিনীটির বিভিন্ন উচ্চপদে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশ কয়েকটি ইউনিটের। বোমা ফাটার শব্দ কিংবা অস্ত্রের ঝনঝনানিতেও তারা অকুতোভয়। কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে অংশ নিচ্ছেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, বিশ্বের ২১টি দেশের ২২টি মিশনে মোট ২০ হাজার ৭৯৪ জন শান্তিরক্ষী অংশ নিয়েছেন। এখন চারটি দেশে চারটি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ৪৯৯ জন সদস্য নিয়োজিত। এর বাইরে জাতিসংঘ লগবেইজ, বিরিন্দিসি, ইতালিতে একজন ও জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আছেন আরও একজন।

বাংলাদেশ পুলিশের ৫ জন নারী পুলিশ কর্মকর্তা সিভিলিয়ান পুলিশ অফিসার হিসেবে প্রথম ২০০০ সালে পূর্ব তিমুর মিশনে যোগ দেন। ২০১০ সালে মধ্য আমেরিকার দেশ হাইতিতে এমআইএনইউএসটিএএইচ মিশনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি) রখফার সুলতানা খানমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম অল ফিমেল ফর্মড পুলিশ ইউনিট (এফপিইউ) যোগদান করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের নবদিগন্তের সূচনা করে।

হাইতি মিশনে নিয়োজিত প্রথম নারী ফর্মড পুলিশ ইউনিটটি ২০১৭ সালের জুলাইতে দেশে ফেরে। সুদানে ২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউএনএএমআইডি মিশন সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছে আরেকটি ইউনিট। আবার একটি নারী ফর্মড পুলিশ ইউনিট কঙ্গোতে ২০১১ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে চলেছে।

এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ২১ জন সদস্য মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১২ জন। ২০১৯ সালে কঙ্গো মিশন পরিদর্শনকালে অ্যাডিশনাল আইজি রওশন আরা বেগম মৃত্যুবরণ করেন।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, বর্তমানে পুলিশের ফর্মড পুলিশ ইউনিটের ৩টি এফপিইউ, আইপি ও প্রফেশনাল লেভেলসহ মোট ৫০১ জন পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষী হিসেবে কর্মরত। এর মধ্যে ১৪৮ জন নারী পুলিশ সদস্য নিয়োজিত। যা মোট শান্তিরক্ষীর প্রায় ৩০ ভাগ।

সেন্ট্রাল আফ্রিকান মিশন ও মালিতে প্রথমবারের মতো দুজন করে মোট চারজনকে আইপিও হিসেবে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা ফেনকোফোন মিশনে ইনডিভিজুয়াল পুলিশ অফিসার হিসেবে নিয়োজিত। এর মধ্যে মালিতে দুই, সেন্ট্রাল আফ্রিকায় দুই এবং কঙ্গোদে তিন নারী শান্তিরক্ষীসহ মোট ১০ জন কর্মরত।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া আ্যন্ড প্ল্যানিং) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও উজ্জ্বল ভূমিকায় কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা। বাংলাদেশ পুলিশ থেকেই প্রথম এফপিইউ ফর্মড পুলিশ নারী পুলিশ সদস্য গেছেন। বাংলাদেশ পুলিশ থেকে প্রথম নারী কন্টিনজেন্ট গেছেন। কঙ্গোতে বাংলাদেশ নারী পুলিশ সদস্যদের একটি আলাদা কন্টিনজেন্ট রয়েছে।

তিনি বলনে, বর্তমানে জাতিসংঘ সদর দপ্তর, নিউইয়র্কে অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম ও জাতিসংঘ লগবেজ, বিরিন্দিসি, ইতালিতে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার প্রফেশনাল জবে নিয়োজিত। বিশ্বের ২১টি দেশের ২২টি মিশনে মোট ২০ হাজার ৭৯৪ জন শান্তিরক্ষী অংশ নিয়েছেন। এখন ৪টি দেশে ৪টি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ৪৯৯ জন সদস্য নিয়োজিত।

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (পাসপোর্ট) বিশেষ পুলিশ সুপার ফরিদা ইয়াসমিন জাগো নিউজকে বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও নারী সদস্যদের সংখ্যাটাও বেড়েছে। এটি নিঃসন্দেহে পজিটিভ একটি বিষয়। জাতিসংঘে ২০০
‘পল্লী উন্নয়ন’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী
পল্লী উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদক দিয়েছে ‘সেন্টার অন ইন্ট্রিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ (সিরডাপ)। রোববার (২৯ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আজিজুল হক পল্লী উন্নয়ন পদক ২০২১’ তুলে দেন সিরডাপের মহাপরিচালক ডা. চেরদসাক ভিরাপা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।

পুরস্কারটি জনগণকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাকে সিরডাপ কর্তৃক ‘আজিজুল হক পল্লী উন্নয়ন পদক ২০২১’ প্রদান করায় আমি মনে করি এটা আমার বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য। আমি তাদের জন্য এ পদক উৎসর্গ করছি। এ পদক প্রাপ্তির জন্য আমাকে মনোনয়ন করা মানে বাংলাদেশকে মনোনয়ন করা।

তিনি বলেন, সিরডাপ সবসময় তাদের সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে পল্লী উন্নয়নের ওপর কাজ করে। সেখান থেকে একটা পুরস্কার পাওয়া এটা শুধু আমার জন্য আমার দেশের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক; বাংলাদেশকে সম্মান জানানো।

সরকার একেবারে গ্রাম থেকে উন্নয়নের কাজ করছে জানিয়ে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবসময় লক্ষ্য যে এদেশের উন্নয়নটা তৃণমূল থেকে হবে। গ্রাম থেকে হবে। আর সেই লক্ষ্য সামনে নিয়ে আমরা আমাদের পরিকল্পনা নিয়েছি। যখনই সরকার গঠন করেছি আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, পল্লী উন্নয়নটা অর্থাৎ গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করতে পারলে দেশের উন্নয়ন হয়। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি। দেশের উন্নয়ন করতে হলে একেবারে তৃণমূলের মানুষকে বাদ দিয়ে কখনো উন্নয়ন হতে পারে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম তৃণমূল ঘিরে। যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো আমাদের ডিজিটাল সেন্টার প্রথমে কিন্তু সেই চর কুকরিমুকরি থেকে শুরু করি। অর্থাৎ একেবারে রিমোট এলাকা সেখানে আমরা শুরু করি।
গ্রামের মানুষকে স্বাবলম্বী করতে নিজস্ব চিন্তা থেকে প্রথমে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন তিনি।

গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি। যেখানে গ্রামের মানুষ পায়ে হেঁটে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।

সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে এখন প্রায় শতভাগ শিশু স্কুলে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার জন্য প্রতি দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় করা। যাতে করে ছেলেমেয়েরা হেঁটে স্কুলে যেতে পারে। আমাদের প্রাইমারি শিক্ষা যেমন অবৈতনিক, পাশাপাশি আমাদের নারীশিক্ষাও অবৈতনিক। সেই সঙ্গে তৃণমূলে মায়েরা যখন বাচ্চাদের স্কুলে পাঠায় মায়েদের নামে আমরা বৃত্তি দেই।

সরকার প্রায় শতভাগ মানুষকে সুপেয় পানি এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্য-শিক্ষা, বাসস্থান- এগুলো মানুষের মৌলিক চাহিদা, আমাদের এখন যত মানুষ গৃহহীন আছে অর্থাৎ ভূমিহীন-গৃহহীন তাদের আমরা বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি। যাতে একটা ঘর পেলে সেটাই মানুষের কর্মসংস্থান হয়।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে সহায়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা- এগুলো আমরা দিচ্ছি, সেটাও মানুষের আর্থ-সামাজিক কাজে লাগে। এগুলো সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব পরিকল্পনা, নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার ফসল। জা‌নি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com