গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম, বিপিএম এর সার্বিক নির্দেশনায় এবং অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার আছমা আরা জাহান এর তত্বাবধানে অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু, উত্তরা জোনাল টিম এর নেতৃত্বে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও লুন্ঠিত স্বর্ণালংকারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে আন্তঃজেলা দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্রের মূল হোতাসহ ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
বুধবার (৩ নভেম্বর, ২০২১) ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীসহ মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো তৈয়ব আলী, মোঃ মিলন সরদার, মোছাঃ রীমা আক্তার হ্যাপি, মোঃ মনির হোসেন ও বিপুল দেবনাথ। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি পিস্তল, ২রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগাজিন, ১টি ওয়্যারলেস সেট, ১টি হ্যান্ডকাফ, নগদ ২৩ হাজার টাকা ও লুন্ঠিত ১,৩৬৩ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর, ২০২১) বেলা ১১:১৫ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম(বার)।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সাম্প্রতিককালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বিদেশ ফেরত প্রবাসী শ্রমিক, যারা বৈধভাবে স্বর্ণ নিয়ে আসে তাদের টার্গেট করে একটি চক্র ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছে। ভোর রাতকে সাধারণত তারা ডাকাতির জন্য বেছে নেয়। তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বাহিরে গাড়ি নিয়ে অবস্থান করে। দুবাই ফেরত প্রবাসী শ্রমিকরা যারা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আসে তাদের টার্গেট করে। গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে নেয়। পরবর্তী সময়ে তাদের কাছে থাকা বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে ফাঁকা রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এই ধরনের একটি ঘটনায় গত ২৭ অক্টোবর, ২০২১ তারিখ রাজধানীর তুরাগ থানায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি মামলা রুজু হয়। এই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এই ডাকাতির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার (৩ নভেম্বর) ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ঢাকা, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে তৈয়ব আলী, মিলন, রীমা আক্তার, মনির ও বিপুলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি পিস্তল, ২রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগাজিন, ১টি ওয়্যারলেস সেট, ১টি হ্যান্ডকাফ, নগদ ২৩ হাজার টাকা ও লুন্ঠিত ১,৩৬৩ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সাধারণত ভোর রাতে ঘটনাগুলো ঘটে বলে অনেকেই অসহায় বোধ করে এবং পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ করে না। প্রাবাসী শ্রমিক বা অন্য যারাই এধরণের ঘটনার শিকার হবেন তারা যেন পুলিশকে অবগত করেন। তাহলে পুলিশের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুবিধা হয়।
সাধারণ জনগণকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, অভ্যাসগত ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে সমগ্র ঢাকা মহানগরীতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে। কেউ যদি এধরণের অপরাধের শিকার হন তারা অবশ্যই মামলা করবেন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা রুজু হয়েছে।