একটি দুঃস্বপ্ন
দু’চোঁখের পাতা গুলোকে একটু প্রশান্তি দিতে ক্ষনিকের বিরতি নিলাম!
ভাবছিলাম হয়তো এক অজানা স্বপ্নময় রাজ্যের সন্ধান পেলাম!!
না!! এ দেখি কোনো এক রুদ্ধ দ্বার কক্ষ!
এখানে ছিলো কিছু পাশবিক বক্ষ!!
গড়নে চলনে অবিকল রক্তে মাংসে গড়া মানুষের মতো!
দেখতে লাগছে বীভৎস, কুশ্রী,আছে পৃথিবীতে যতো!
আমি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জোরে করছি চিৎকার,
শূন্যে ভেসে যাচ্ছে তা হয়ে এক একটি ফুৎকার!
নিস্তেজ শরীরের নির্বাক চিৎকার কি করে আমায় বাঁচাবে?
রূদ্ধ কক্ষের বাইরের মানুষের ঘুমন্ত অনুভূতি কি করে জাগাবে?
কি ভয়ানক এদের অবয়ব!কি কুৎসিত হাসি!
কোনো পশুর বিবেকহীন হৃদয়কে খন্ড বিখন্ড করে যেন সাজানো এই দেহযষ্টি!
আজ জীবনকে নিয়ে ছন্দ সাজাতে পারছি না!
তমসাচ্ছন্ন দেখছি,কোথাও আলোর সন্ধান পাচ্ছি না!
এইতো!এই বুঝি আসছে তেড়ে আমায় লুফে নিতে!
আমাকে নিয়ে খেলা করে কি যাবে এরা জিতে?
নিজেকে একবার চেয়ে দেখলাম আপাদমস্তক!
আমি বুঝি কোনো সুস্বাদু খাবারের আয়োজক!
ভাবলাম আমি আবার বিবস্ত্র তো নই !
না হয় কি আর কুকুরের খাবারের টুকরো হই?
দেখেছিতো কতো!!
মাংস পিন্ড দেখলেই তো কুকুর জিভ বের করে চেয়ে থাকে হা করে।
আঁচড়ে ,টেনে ,চেটে খেয়ে তার পেটের ক্ষুধা দূর করে!
এরই মধ্যে আবার দেখি,
কে কোন ভাগ নেবে এই নিয়ে চলছে বাক বিতণ্ডা!
চলছে আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে কি নৃশংস পরিকল্পনা!
একটা বড় দীর্ঘশ্বাস!
ভাবছি!আমিও বুঝি রয়ে যাবো ব্যানারে আর ধুলো জমা কয়েক বছরের পত্রিকার পাতায়!
হঠাৎ চোঁখের পাতা গুলো আলাদা হয়ে খুলে গেলো!আল্লাহ! বেঁচে গেলাম বুঝি এই যাত্রায়!!
নুরে রেজওয়ানা
প্রভাষক, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ