বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিফ্রিংয়ে আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে বলে জানান আসিফ নজরুল।
ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বিভিন্ন দল ও মহল থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি আসছিল। এর মধ্যে গত বুধবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে গেলে নতুন করে দলটির নিষিদ্ধের দাবিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের কর্মসূচিতে বিভিন্ন দল ও প্ল্যাটফর্ম যোগ দেয়। তারইপ্রেক্ষিতে রাতে জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধান উপদেষ্টা এবং তাতে আওয়ামী লীগের বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত আসে।