গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সেটি আত্মঘাতী হবে, আমরাও সেটি বুঝি। দাম বাড়ালে তো অবশ্যই কোনও না কোনোভাবে কারও না কারও ওপরে গিয়ে সেটির প্রভাব পড়ে। আমরা চাই, প্রভাবটা যেন কম পড়ে। সব জিনিস যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সেই ব্যবস্থা করবো। সেজন্য সরকার নিজেই কনজ্যুমারের সঙ্গে এটি শেয়ার করে নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আহম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন।
আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সবশ্রেণির মানুষকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ বাজেটে নিচু, মাঝারি, উচ্চ সবশ্রেণির মানুষকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। যখন কোনও সিদ্ধান্ত আসে, তখন অনেকেই সুবিধাভোগী হন। এখন যদি বড় কাউকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য থাকে যে, এখানে কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে কিনা। সামাজিক ক্ষেত্রে কোনও সুবিধা থাকে কিনা, সেটি দেখা হয়। সুযোগ দিলে যদি কোনও ভালো কিছু হয়, তবে উপকারভোগী হবেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এদেরই আমরা প্রাধান্য দিয়েছি।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাঝে বাজেট হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপস অ্যান্ড ডাউন সারা বিশ্বেই হচ্ছে। ধনি-দরিদ্র কোনও দেশই এর বাইরে নেই। আমাদের মূলকাজ হবে স্ট্যাবিলাইজেশন। আমরা বিভিন্ন পলিসির মাধ্যমে এটি একটি জায়গায় নিয়ে আসতে চাই। আমাদের গ্রোথ দরকার। আমেরিকায় ৪০ বছরে যেটা হয়নি, সে পরিমাণ ইনফ্লেশন হয়েছে। প্রত্যেক দেশে একই রকম অবস্থা। মার্কেট ইকোনমিতে যেমন সুবিধা পাওয়া যায়, তেমনই কোনও সমস্যা হলে সারা বিশ্বে সেটি ছড়িয়ে পড়ে। আমরা চেষ্টা করছি মানুষ যতটা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিট্রি