সরকারের বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করতে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) এই নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ইতোমধ্যে ছয় লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার উপজেলাওয়ারি বিভাজন মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া চলতি বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ সফল করতে ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে অবিলম্বে জেলা ও উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভা সম্পন্ন করতে হবে। কৃষকের অ্যাপের বাইরের উপজেলায় লটারি করে ধান সংগ্রহ দ্রুত শুরু ও শেষ করতে হবে। কৃষকের অ্যাপভুক্ত উপজেলায় রেজিস্ট্রেশন দ্রুত সম্পন্ন করে ওই সিস্টেমে লটারি করে কৃষক নির্বাচন করে দ্রুত ধান সংগ্রহ করতে হবে।
২. ধান সংগ্রহের বার্তাটি মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, স্থানীয় কেবল টিভি স্ক্রলে প্রদর্শনের মাধ্যমে বহুল প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
৩. যেহেতু চলমান চাল সংগ্রহ মৌসুমে মিলের পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা অপেক্ষা বরাদ্দ কম তাই আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ, জুলাইয়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ এবং আগস্টের মধ্যে শতভাগ চাল সংগ্রহ সম্পন্ন করার জন্য (তারিখ, পরিমাণ, সময়ভিত্তিক সিডিউল প্রস্তুতপূর্বক) জেলা, উপজেলা ও গুদামভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরি করে সেই অনুযায়ী সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে।
৪. সংগৃহীত চালের প্রতিটি বস্তায় সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী স্টেনসিল প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
৫. ১৬ মে’র মধ্যে চাল সংগ্রহের জন্য মিলারদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। চুক্তি সম্পাদনের মেয়াদ কোনোক্রমে বাড়ানো হবে না। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরপরই মিলারদের অনুকূলে চুক্তি করা পরিমাণ চালের বরাদ্দপত্র ইস্যু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুলিপি দিয়ে নিজ নিজ জেলার ওয়েবসাইট বা ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করতে হবে।
৬. ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম যুগপৎভাবে বাস্তবায়ন ও ত্বরান্বিত করতে হবে।
৭. ধান ও চাল সংগ্রহের জন্য ‘অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭’ অনুসারে ২০২২ সালে উৎপাদিত বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮. খাদ্য গুদামে কৃষকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক যেন কোনোক্রমেই হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. গুদামে স্থান সংকুলান না হলে ‘চলাচল সূচি প্রণয়ন নীতিমালা, ২০০৮’ অনুসারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে বিধিমোতাবেক স্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চলাচল সূচি জারি করবেন।
১০. ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নিবিড় মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।
১১. প্রতিদিন বিকেল ৫টার মধ্যে সব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহের তথ্য ই-মেইলে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগে পাঠাতে হবে।
১২. জাতীয়ভাবে ২৮ এপ্রিল একযোগে সারাদেশে আট বিভাগে ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করায় স্থানীয়ভাবে পুনরায় কোনো আনুষ্ঠানিকতার অজুহাতে কোনোক্রমেই সংগ্রহ কার্যক্রম বিলম্বিত করা যাবে না।
১৩. খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১৯ এপ্রিল ও ২৮ এপ্রিলের স্মারকের নির্দেশনা মোতাবেক জিংকসমৃদ্ধ ধান ও চাল সংগ্রহ করতে হবে। সংগৃহীত জিংকসমৃদ্ধ ধান ও চাল রাখতে পৃথকভাবে খামাল গঠন করতে হবে।