বিশ্বযুদ্ধের উসকানি দেওয়া নিয়ে ইউক্রেনকে সতর্ক করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানোর লক্ষে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রদের একটি বৈঠকের প্রাক্কালে এমন সতর্কবার্তা দিলেন তিনি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক সংঘাতের হুমকিকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয় কারণ তার দেশ মস্কোর নতুন পূর্ব আক্রমণের প্রথম সারির থেকে দূরে রেল ও জ্বালানী স্থাপনার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছে। প্রতিবেশী দেশটিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর কিয়েভের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাপক সমর্থন রাশিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা দিতে বিপুল অস্ত্র সরবরাহ করছে।
ল্যাভরভের ভাষ্যমতে, ‘এটি বাস্তব, আপনি এটিকে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন না।’ পশ্চিমা শক্তিগুলো ভয়ে এই যুদ্ধে তাদের সরাসরি জড়াতে চায় না, তারা চায়না এই যুদ্ধ তাদের পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়াকে বিরুদ্ধে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে।
কয়েক মাস ধরে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছে কামান ও যুদ্ধবিমানসহ ভারী অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়ে আসছে এবং এসব অস্ত্র দিয়ে তার বাহিনী যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার শপথ নিয়েছে।
এখন সেই আহ্বানের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। মস্কোর আপত্তি সত্ত্বেও উদ্যোগী ন্যাটো ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। সপ্তাহান্তে কিয়েভ সফরে পেন্টাগন প্রধান লয়েড অস্টিন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ইউক্রেনের জন্য ৭০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
ইউক্রেনের নেতার সঙ্গে বৈঠকের পরে একদল সাংবাদিককে অস্টিন বলেন, ‘জেতার প্রথম ধাপ হল বিশ্বাস করা যে আপনি জিততে পারবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে ৪০ টির বেশী দেশ ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি যুদ্ধ শেষে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে মঙ্গলবার জার্মানিতে নিরাপত্তা সম্মেলনে বসছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বৈঠকের কথা রয়েছে। তার মুখপাত্র আরআইএ নভোস্তিকে এ কথা জানায়।