চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কিরণগঞ্জ সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে প্রথমে ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এই উত্তেজনা পরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে স্থানীয় চৌকা সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
(নাগরিক খবর)
তবে শনিবার সন্ধ্যার আগে উভয় দেশের বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আহতরা হলেন– শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘণ্টোলা বিশ্বনাথপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের ছেলে রনি এবং কারিগঞ্জ গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে ফারুক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কিরণগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ ও ভারতীয়রা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে আম গাছ কেটে নষ্ট করে ফেলে। পরে বিজিবি এবং বাংলাদেশিরা একসঙ্গে তাদের মোকাবিলার চেষ্টা করে। সে সময় বিএসএফ অনবরত টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. কামাল উদ্দীন বলেন, ‘বিএসএফের সদস্যরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে আমাদের এলাকার ঘাস ও আমগাছের ডালপালা কেটে দিয়েছে। পরে বিজিবি ও স্থানীয়দের প্রতিরোধে তারা ডালপালা ফেলে চলে গেছে। সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারতীয় জনগণ বাংলাদেশি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে চৌকা সীমান্ত এলাকায় কমপক্ষে ৩০টি আমগাছ এবং শতাধিক বরইগাছ কেটে ফেলেছে।
স্থানীয় কালীগঞ্জ ঘুমটোলা গ্রামের বাসিন্দা রবু বলেন, ‘মোটরসাইকেলে করে ফারুক (আহতদের একজন) সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি দেখার জন্য গিয়েছিল। উত্তেজনার মধ্যে তীব্র বেগে আসা পাথরে মাথায় আঘাত পায় সে।’
এদিকে ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। পরে বিজিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভারতীয়রা পিছু হটে এবং বিকাল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে গাছ কাটার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ঘটা এ ঘটনাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’