1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভিডিও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফার জনসম্পৃক্ততা তৈরির লক্ষ্যে বরিশাল মহানগর বিএনপির উদ্যেগে লিফলেট বিতরন করা হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় চাটমোহরের মাদ্রাসা সুপারের মৃত্যু আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল কেন্দ্রীয় সংসদের আ‌য়োজ‌নে নয়া পল্টনে সমাবেশ বিএনপি কৃষক বান্ধব দল — ওবায়দুর রহমান চন্দন কড়া ‘অ্যা’কশন’ নিতে ভারতীয় সেনাদের নির্দেশ মোদির অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর, থানায় সোপর্দ নারায়ণগ‌ঞ্জে ১৪ নং ওয়ার্ড বিএন‌পির সেক্রেটারি প‌দে রানাকে নি‌য়ে বিতর্ক বিএনপি ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে কৃষি সংস্কার ভাবনা নিয়ে নির্মিত “কৃষি কথা” শীর্ষক ভিডিও চিত্র পারভেজ হত্যায় জ‌ড়িত খু‌নি‌দের গ্রেফতা‌রে নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মশাল মিছিল পারভেজ হত্যায় জ‌ড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে মজাখালী‌তে মশাল মি‌ছিল

‘‘ফাঁসি দিয়ে দেন’’ তাতে কিছুই যায় আসে না : ধর্ষণকারী

নাগরিক খবর আন্তর্জা‌তিক ডেক্স
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৮২ বার পঠিত

গত শুক্রবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

চিকিৎসকের মৃত্যুতে উত্তাল হয় আরজি কর। প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকদের সংগঠন। রাতেও বিক্ষোভ চলে আরজি কর হাসপাতালের সামনে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি, তৃণমূল নেতৃত্ব। চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শুক্রবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শুরু করে পুলিশও।
সেমিনার হলে একটি নীলরঙা কার্পেটের উপর চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল। কার্পেটের চারপাশে চুলের গোছা পড়ে থাকতেও দেখা গিয়েছিল। সেই কার্পেটে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ ছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতার দু’চোখ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ার চিহ্নের উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া, মুখেও রক্তের দাগ পাওয়া যায়। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন বাঁ পা, পেট, নখ, মুখ, ঠোঁট, যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্নও মেলে। এর পরেই ওই ঘটনায় ধর্ষণের মামলা যুক্ত হয়।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণীর চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই এক অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওই যুবকের পরিচয় এবং পেশা নিয়েও ধন্দ তৈরি হয়। এর মধ্যেই আরজি কর-কাণ্ডের আঁচ রাজ্যের বাকি মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পথে নামেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। সরব হন বাংলা থেকে মুম্বইয়ের তারকাশিবিরও।

আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীর ফাঁসির শাস্তি চান তিনি। সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই ঘটনায় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে ফাঁসির আবেদন জানানো উচিত। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না থাকলে অন্য কোনও এজেন্সির দ্বারস্থও হতে পারেন আন্দোলনকারীরা। কারণ, সরকার উপযুক্ত তদন্ত চায়। জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ সঙ্গত বলেও মেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, কথা বলেন মৃতার মা-বাবার সঙ্গেও।

এর মধ্যেই আরজি কর-কাণ্ডে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর মোবাইল ফোন ঘেঁটে পর্নোগ্রাফির বহু ভিডিয়ো পায় পুলিশ। ওই যুবকের মানসিক বিকৃতি রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে যুবককে দেখা গিয়েছিল। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট পর আবার তাঁকে বেরিয়ে আসতেও দেখা যায়। এই সময়ের মধ্যেই তিনি ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা যায়, অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন যুবক। তবে তাঁর মধ্যে কোনও অপরাধবোধ দেখা যায়নি।

অন্য দিকে, আরজি করের নিরাপত্তারক্ষীরাই জানান, ধৃত যুবকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল হাসপাতালে। তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। হাসপাতালে দালালির সঙ্গেও তাঁর যোগ ছিল বলে মনে করা হয়। মূলত দু’টি বিষয়ের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করে। এক, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং দুই, একটি ব্লুটুথ হেডফোন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হাসপাতালে প্রবেশের সময়ে অভিযুক্তের কানে একটি হেডফোন ছিল। পরে তিনি যখন বেরিয়ে আসছেন, তখন হেডফোন দেখা যায়নি তাঁর কানে। পরে ওই হেডফোনেরই ছেঁড়া অংশ পাওয়া যায় আরজি করের জরুরি বিভাগের চার তলার ওই সেমিনার হল থেকে।

তদন্ত চলাকালীন প্রকাশ্যে আসে, ধৃতের আরও অনেক কীর্তি। জানা যায়, একাধিক বিয়ে করেছেন ধৃত যুবক। পাশাপাশি পুলিশে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে অতীতে টাকা তুলেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা যায়, কখনও সিভিক ভলান্টিয়ার, কখনও পুলিশ, কখনও আবার বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মী হিসাবে নিজের পরিচয় দিতেন অভিযুক্ত! ‘কেপি’ (কলকাতা পুলিশ) লেখা গাড়ি, বাইকও ছিল তাঁর। সেই বাইক নিয়েই ছিল হাসপাতালে নিত্য যাতায়াত। নিজের এলাকাতেও ‘পুলিশ’ লেখা টি-শার্ট পরে দাপট নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। অথচ পুলিশের ঠিক কোন পদে কর্মরত ছিলেন অভিযুক্ত, জানতেন না কেউই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com