মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং চীনা ড্রোনগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার স্বপ্ন থেকে মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে সশস্ত্র ড্রোন প্রস্তুতকারী শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর কাতারে পৌঁছে গেছে তুরস্ক। একের পর এক ড্রোন তৈরিতে অভাবনীয় চমক দেখিয়েছে দেশটি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান তার দেশকে ধীরে ধীরে বিশ্বের দরবারে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, দেশটির চারটি কোম্পানি ড্রোন উৎপাদন করে থাকে। এগুলোর মধ্যে মেশিনগান এবং গ্রেনেড বহনকারী ড্রোনও রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে সীমান্তে ড্রোন ব্যবহার করে আসছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রতিরক্ষা বিভাগের ঠিকাদার এসটিএমের তৈরি কার্গু-২ ড্রোন লিবিয়ায় সরকার এবং জেনারেল খলিফা হাফতারের মধ্যে সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তুরস্কের কার্গু, বায়রাখতার, আনকা, কারায়েল এবং আলফাগু ড্রোনগুলো ‘যেমন কার্যকর তেমনই সাশ্রয়ী মূল্যের’। সর্বশেষ তুরস্কের ড্রোন নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে। যুদ্ধে আজারবাইজানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ইতোমধ্যে তুরস্কের কাছ থেকে ড্রোন কিনেছে আজারবাইজান, কাতার, ইউক্রেন, তিউনিসিয়া ও পোল্যান্ড। তুরস্কের ড্রোন কেনার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরব, লাটভিয়া, হাঙ্গেরি এবং আলবেনিয়াও।
নিজস্ব স্যাটেলাইট এবং ভালো মানের রাডারও আছে তুরস্কের। এখন তারা ক্রুজ মিসাইল তৈরির কাজ করছে। এর পাশাপাশি নৌ বাহিনীর জন্য তারা যেসব যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরি করছে, তার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি শিপ মিসাইল, লাইটওয়েট টর্পেডো এবং সোনার সিস্টেম। তারা আন্ডারওয়াটার অ্যাটাক ড্রোন তৈরি নিয়েও কাজ করছে। তিন বছর আগে শুরু করেছে যুদ্ধজাহাজের ইঞ্জিন তৈরির কাজ।-ডেইলি সাবাহ