রাজধানীসহ সারাদেশে উৎসবের আমেজে উদযাপিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ একাকার হয়ে বরণ করে নেয় ১৪৩২ বাংলা বছরকে। এবার স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে সব মত ও পথের মানুষ পহেলা বৈশাখ উদযাপান করে। বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখাকৃতি। পহেলা বৈশাখে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয়া মানুষ দিল্লির নামের পুতুল মাফিয়ানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন।
এসো হে বৈশাখ’ গানের সুর এবং বাঙালির লোকগান, প্রদর্শনী, র্যালি, আল্পনা, নানা বর্ণের ফেস্টুনে রঙিন হয়ে ওঠে রাজপথ। নারী-পুরুষ, শিশু- কিশোর রঙবেরঙের পোশাকে সজ্জিত হয়ে মেতে উঠেছে বর্ষবরণের আনন্দে। রমনার বটমূল থেকে শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট, প্রেসক্লাব, রাজপথ অলিগলি সবখানে ছিল ভোর থেকে উৎসবমুখর মানুষের পদচারণা। যেন জেগে উঠেছে বাংলাদেশ। এ এক নতুন বাংলাদেশ।
দিনটিকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, তিন পার্বত্য জেলা এবং অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল রাজধানীতে শোভাযাত্রা বের করে। পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে ভোরে রমনা বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন। বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাংলাদেশ লোকশিল্প ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে।
দিনটি উদযাপন উপলক্ষে সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন পৌরসভা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজস্ব কর্মসূচি পালন করে,
চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ দেশের সব জেলা-উপজেলায় উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ির জাতিগত গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো একই সাথে পালন করেছে বৈসাখি উৎসব। ঢাকায় জনসাধারণের জন্য সকল জাদুঘর এবং প্রতœতাত্ত্বিক স্থান উন্মুক্ত রাখা হয়। শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য এদিন কোনো টিকিট লাগে না।
সংবাদপত্রগুলোতে পহেলা বৈশাখের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ ফিচার প্রকাশ করে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসহ অন্যান্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।