আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনাতে পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত না করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম মঙ্গলবার বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন এবং হুঁশিয়ারি দেন যে, ইসলামাবাদকে উপেক্ষা করাটা বিপর্যয়কর হতে পারে।
আগামী শুক্রবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি এবং কাবুলের শীর্ষ মধ্যস্থতাকারী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর সাথে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করার কথা রয়েছে বাইডেনের। তার আগেই একাধিক টুইট করে দক্ষিণ ক্যারোলাইনা থেকে নির্বাচিত সিনিয়র রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এই সিদ্ধান্তের জন্য বাইডেন প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করলেন। তালেবানদের সাথে একটি চুক্তির অধীনে আমেরিকা যুদ্ধবিরোধী দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়। বাইডেন এপ্রিল মাসে বলেছিলেন যে, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের সন্ত্রাসী হামলার ২০ তম বার্ষিকীতে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে মার্কিন সেনা। গত সোমবার পেন্টাগন জানায়, তারা ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে। তবে তালেবানদের আগ্রাসনের কারণে সেনা প্রত্যাহারের গতি কমে যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার করা টুইটে সিনেটর গ্রাহাম প্রশ্ন করেন যে, পাকিস্তানের সাথে সমন্বয় ছাড়া আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার কীভাবে কার্যকর হতে পারে? তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন কাছে মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং আফগানিস্তান সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে আলাপ করেননি শুনে তিনি অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে আশা করব যে পাকিস্তানের সাথে সমন্বয় না করেই আফগানিস্তান থেকে আমাদের সেনা প্রত্যাহার কার্যকর হবে? আমি বিশ্বাস করি যে, সমস্ত বাহিনী প্রত্যাহার এবং পাকিস্তানের সাথে জড়িত না থাকার জন্য বাইডন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তটি একটি বড় বিপর্যয়ের ক্ষেত্র তৈরি করতে যাচ্ছে। যা ইরাকের ত্রুটি-বিচ্যুতির চেয়েও খারাপ হতে পারে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর আফগানিস্তানে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানায়। তারা সেখানে বেশিরভাগ রক্তপাতের জন্য তালেবানকে দায়ী করে। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে শান্তির জন্য আলোচনায় জড়িত থাকার আহ্বান জানাই যা আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য রাজনৈতিক রোডম্যাপ নির্ধারণ করে।’ এর পরেই সিনেটর গ্রাহাম এই টুইটগুলি করেন।