জল্পনা-কল্পনায় ইতি টেনে অবশেষে নুসরাতের কাছে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে বসছেন নিখিল জৈন। গত দু-মাস ধরে এই তারকা দম্পতির দাম্পত্য জীবন থেকেছে সংবাদ শিরোনামে। নতুন বছরের শুরু থেকেই পেজ থ্রি-র পাতা ভর্তি নুসরত-নিখিলের দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙার খবরে। নুসরত-নিখিলের দম্পতির সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে ঢুকে পড়েছেন যশ দাশগুপ্ত, গুঞ্জন তেমনই। ছাদ আলাদা হয়েছে, রূপকথার প্রেমকাহিনিতে চিড় ধরেছে। এবার আইনি পথে হাঁটলেন নিখিল জৈন।
যদিও এই খবর পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন নুসরাত জাহান। ২২ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) বেলা গড়াতেই একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেন নুসরাত। সেখানে নায়িকা জানিয়েছেন, ‘আমি সকলকে জানাতে চাই আনন্দবাজার পত্রিকা ডিজিটালে একটি সংবাদ ঘোরাফেরা করছে, সেটা সম্পূর্নরূপে ভুল এবং ভিত্তিহীন। মিডিয়ার উচিত কোনও খবর প্রকাশের আগে সঠিকভাবে তথ্য অনুসন্ধান করা, ফেক নিউজের জোয়ারে গা ভাসানো থেকে বিরত থাকা উচিত’।
বন্ধু’ যশের সঙ্গে নুসরাতের রাজস্থান ট্রিপ, একসঙ্গে মাচা-র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া থেকে ছবির প্রিমিয়ার হাজির হওয়া- এই সব নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি নিখিল। তবে কিছুটা বাধ্য হয়েই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, এমনটাই দাবি করা হয়েছিল প্রতিবেদনে। কোনওভাবেই এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়, সেটা এতদিনে উপলব্ধি করতে পেরেছেন রঙ্গোলি ইন্ডিয়ার সিইও।
নুসরাতের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর চাউর হওয়ার পর থেকে সরাসরি নুসরাতের বিরুদ্ধে কোনওরকম মন্তব্য করেননি নিখিল। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও বিরূপ বা কুরুচিকর পোস্ট আকারে ইঙ্গিতেও উড়ে আসেনি নিখিলের তরফে, বরং প্রেমদিবসে তার প্রছন্ন বার্তা ছিল নুসরাত বদলে গেলেও তিনি একই রকম আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মাত্র দিন কয়েকের মাথায় তুরস্কের বোদরুমে নিখিল জৈনের সঙ্গে রূপকথার বিয়ে সারেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জৈন। ২০১৯-এর ১৯ জুন রীতিনীতি মনে চার হাত এক হয় দুজনের। বিয়ের ঠিক এক বছর আট মাসের মাথায় বিয়ে ভাঙার পথে এই জুটির।
যশ-নুসরাতের প্রেমের গল্প যখন টলিগঞ্জে ডানা মেলেছে ঠিক তখনই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে চমকে দেন যশ। এর মাঝেই নিখিলের নুসরাতকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠানোর খবর। এই বিচ্ছেদের ফলে কি ‘যশরত’ জুটির সম্পর্ক আরও খানিকটা গাঢ় হবে? সেটা তো সময়ই বলে দেবে।