ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদে হত্যাকাণ্ড ইরানের সঙ্গে মার্কিন লেনদেন বা বোঝাপড়াকে আরও জটিল করবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তিনি বলতে পারছেন না তা কতটা জটিল হবে। সিএনএন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, এটা বলা কঠিন যে এই হত্যাকাণ্ড তেহরানের সঙ্গে তার লেনদেন বা বোঝাপড়াকে কতটুকু জটিল করে তুলবে। -সিএনএন
বাইডেন আরও বলেন, ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পের অনুসৃত নীতি ভুল ছিল। আর এ কারণেই ইরানের পরমাণু সংক্রান্ত জ্ঞান ও সক্ষমতা বেড়েছে। বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর পরমাণু সমঝোতা হয়। পরে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ওই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যান এবং ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকেন। এদিকে পরমাণু সমঝোতা চুক্তি নিয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস ফের ইরানকে আলোচনায় ফেরার কথা বলার পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেন, তার দেশকে লেকচার দেয়ার আগে ইউরোপকে আগে আচরণ পরিবর্তন করতে হবে।
এদিকে হেইকো মাস বলেন, ইরানের হাতে কোন পরমাণু অস্ত্র বা কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থাকবে না। ইরানের এ ধরনের কর্মসূচি পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে ইরানের ভূমিকায় পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন। ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের দেশগুলোর উচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের ব্যর্থতা পর্যালোচনা করা। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে হাজার হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার কথাও তখন বলেন জারিফ।