তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার কাজখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ দেশের এমন কৃতজ্ঞতার কথা জানান তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে বন্দি বিনিময়ে তুরস্কের জোরালো ভূমিকা ছিল। ওই চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের রুশপন্থী রাজনীতিক ভিক্টর মেদভেদচুক ছাড়াও অর্ধশতাধিক রুশ বন্দিকে মুক্তি দেয় কিয়েভ। মেদভেদচুককে ইউক্রেনে পুতিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে মনে করা হয়।
ইউক্রেনের শস্য চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রেও তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কৃষ্ণসাগর হয়ে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রফতানি পুনরায় শুরু করতে গত ২২ জুলাই ওই চুক্তিতে উপনীত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। চুক্তিতে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্যের পাশাপাশি রাশিয়ায় উৎপাদিত খাদ্যশস্য এবং সারও বিশ্ববাজারে পৌঁছানোর কথা বলা হয়েছে।
আস্তানায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, বন্দি বিনিময়সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে এরদোয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়গুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এজন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন থেকে শস্য রফতানির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বেশ সক্রিয় ছিলেন। এই শস্য দুনিয়ার দরিদ্রতম দেশগুলোতে যায়। সামান্য পরিমাণে হলেও যায়। বৃহস্পতিবারের (১৩ অক্টোবর) বৈঠকেও এ নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেওয়ার জন্যও এরদোয়ানের প্রশংসা করেন পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনকে ধ্বংস করে দেওয়ার কোনও উদ্দেশ্য তার দেশের ছিল না। বরং বিদ্যমান সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেছে মস্কো।
আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে পুতিন জানান, এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।