করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। বিশ্বব্যাপী প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ২২৮ জন। গতকাল বিশ্বজুড়ে মৃত্যের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৯৫৯ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৬৯ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৬০৭ জন। গতকাল শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৭ হাজার ৩১৮ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪৩ জনে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে এই তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৭০ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৬ জন আর ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৬ জন মারা গেছেন।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭০২ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ২ কোটি ২৪ লাখ ৯ হাজার ১৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জনের।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ৪২৯ জন, রাশিয়ায় ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৮৫৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০ জন, ইতালিতে ৪৪ লাখ ১৩ হাজার ১৬২ জন, তুরস্কে ৫৯ লাখ ৯৬ হাজার ২২৪ জন, স্পেনে ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ৪৭৩ জন, জার্মানিতে ৩৮ লাখ ৮ হাজার ৮১০ জন এবং মেক্সিকোতে ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১২ হাজার ৪১০ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৬৭ হাজার ২৪১ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৬০৭ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ৩০৪ জন, তুরস্কে ৫২ হাজার ৫৬৫ জন, স্পেনে ৮২ হাজার ৩২০ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ৩৩২ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭৬ জন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।