ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে আটজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে প্রতিদিন শত শত বাড়িঘর ও প্রাণ-প্রকৃতি পুড়ে যাচ্ছে। সবশেষ দাবানলে সেখানে দু’টি শহর পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, আটজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় ও ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম দাবানল ‘দ্য ডিক্সি ফায়ার’ শনিবার পর্যন্ত তিন কাউন্টির প্রায় সাড়ে চার লাখ একর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ভয়াবহ এই দাবনলের মাত্র ২১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
দাবানলের বিস্তার বেড়ে যাওয়ার মুখে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবহাওয়া একটু শীতল হওয়ার কারণে দমকলকর্মীরা অবশেষে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন, যেটা খুব প্রয়োজন ছিল তাদের। রোববারও আবহাওয়া এমন থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলের দাবানল নিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০০৩ সালের পর এ বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এমন দাবানল বিশ্ব আর দেখেনি। তীব্র দাবদাহ ও দীর্ঘ খরার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দাবানল সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার দমকলকর্মীদের একটি শাখার প্রধান জ্যাক ক্যাগল বলেন, ‘দাবানলের রূপ গতকালের মতোই রয়েছে। অবশ্য আগের দিনের তুলনায় এর ক্ষিপ্রতা কিছুটা কমেছে। দাবানলে এরই মধ্যে গ্রিনভিল ও ক্যানিয়ন্ডাম শহর পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। নিখোঁজ আটজনের মধ্যে পাঁচজন গ্রিনভিলের বাসিন্দা।’ ক্যালিফোর্নিয়ার রাজধানী সাক্রামেন্টো থেকে ১৬০ মাইল উত্তরের এ শহরটি দাবানলে পুড়ে যাওয়ার পর নিখোঁজদের খুঁজে পেতে জনসাধারণের সাহায্য চেয়েছে স্থানীয় সরকারি কর্তৃপক্ষ। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।