ধর্ষক একজন অপরাধী : ধর্ষণের সাথে রাজনীতির কি সম্পর্ক । মাদ্রাসার শিক্ষক, স্কুল কলেজের শিক্ষক,৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধ লোক যখন ধর্ষণ করে, দুলাভাই যখন শালীকে ধর্ষণ করে,বাড়ীর পাশের যুবক যখন প্রতিবেশীকে ধর্ষণ করে তখন আমরা তাদের রাজনীতির দোহাই দিতে পারি না। কিন্তু কোন ধর্ষকের পরিচয় ছাত্রলীগ হয় তখন আমরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে রাজপথ কাপানোর চেস্টা করি, সহজে সরকারের উপর দোষ চাপিয়ে দিই সহজে ! কেন আমরা নিজেদের একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখি, শুধু ছাত্রলীগের কর্মী ধর্ষণ করলে আমরা রাজপথে মিছিল মিটিং করে ব্যানারে টাঙ্গিয়ে প্রতিবাদ করতে থাকি । শুধু মাত্র রাজীতির ক্ষেত্রে আমরা প্রতিবাদি হই। আমাদের চিন্তা চেতনা বদলাতে হবে, বদলাতে হবে মন মানসিকতা, একজন ধর্ষক অপরাধি সে যে পেশার হোক , দলের হোক, শিক্ষক ও নানা শ্রেণীর পেশার হোক না কেন ধর্ষক তার পরিচয় হবে ধর্ষক ও অপরাধি। সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধুকে বিবস্ত্র করে পিটিয়ে নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এটা স্বাভাবিক কিন্তু ধর্ষক রাজনীতির একটি গ্রুফের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাকে দলীয় চিহ্নিত করে আ”লীগের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া কতটুকু সঠিক ? একটি দলের সমর্থক হওয়া মানে পুরো দলের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া মোটেও কাম্য নয়।
বেগমগঞ্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ চক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার পোস্টারে প্রতিবাদ জানায় ছাত্রলীগের কর্মীরাই ধর্ষণ করে। এ জন্য শেখ হাসিনা দায়ী! অথচ প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয় ধর্ষক যত শক্তিশালী হোক, যে দলের হোক কোন প্রকার ছাড় না দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের সকলের উচিৎ ধর্ষক যে হোক না কেন সে অপরাধী আমাদের সোচ্চার হয়ে আন্দোলন করা বৈধ বা সার্থক তখনি হবে যদি আমরা ধর্ষকের বিরুদ্ধে এক হয়ে আন্দোলন করতে পারি। আমাদের সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে অপরাধি যে হোক না কেন রাজনীতিকে ইস্যু না করে ব্যক্তির অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারি তাহলে নির্যাতিত, ক্ষতিগ্রস্থরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে না।