আমাদের কি মনে পড়ে সে কথা যখন এ দেশে খুব বেশি সন্ত্রাস ও বাংলাভাই নামক জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিলো তখন জনগণের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে র্যাব এ জঙ্গিবাদ নির্মূলে একমাত্র ভূমিকা পালন করে আসছে যা আজ প্রর্যন্ত চলমান আছে। অথচ এই র্যাবের ইতিবাচক কথা না বলে একের পর এক মিথ্যাচার করে যাচ্ছে ডয়চে ভেলে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) বিতর্কিত ও ভুঁইফোঁড় নিউজ পোর্টাল নেত্রনিউজকে সূত্র হিসেবে ধরে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে একটি বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছায়া চিত্র, নকল কন্ঠ, নাম ঠিকানাবিহীন সাবেক কর্মকর্তা, ভয়ংকর কিছু বর্ণনা ব্যবহার করে আতঙ্ক ছড়ানো হয় জনমনে। যার সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণই দেখাতে পারেনি ডয়চে ভেলে। উল্টো প্রতিবেদনটি প্রচারের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপশক্তির সঙ্গে তাদের আঁতাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত বছরগুলোতে সংস্থাটির সময়োপযোগী পদক্ষেপের কোনো প্রশংসায় করা হয়নি প্রতিবেদনে বরং বানোয়াট গল্প সাজানো হয়েছে। এই বিষয়ে গণমাধ্যম বিশ্লেষকরা বলেন, নিরপেক্ষ জায়গা থেকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করলে র্যাবের ভুল ধরার পাশাপাশি প্রশংসনীয় কাজগুলোর কথাও উঠে আসতো ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে। তাদের প্রতিবেদন অনেক নিম্নমানের। দেখে মনে হয়েছে এটি তৈরিই করা হয়েছে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ছোট ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। এটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই আমার কাছে প্রতীয়মান হয়। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ কেন এই কুচক্রীমহল সক্রিয় এমন প্রশ্ন রেখেছেন অনেক বিজ্ঞজন। তারা এও বলছেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ডয়চে ভেলে এই প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছে তা আর বুঝতে বাকি থাকলো না। কারণ এই দেশে র্যাবের অনেক ভালো কাজ রয়েছে বিশেষ করে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে র্যাবের রয়েছে অসামান্য অবদান।
এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী নেটিজেনরা বলছেন, এটা কোন নির্ভরযোগ্য তথ্যচিত্র নয়। নেত্র নিউজের মতো আরো একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যচিত্র। ছায়া চিত্র, নকল কন্ঠ, নাম ঠিকানা বিহীন সাবেক কর্মকর্তা, ভয়ংকর কিছু বর্ণনা ব্যবহার করে DW এর বিরুদ্ধেও এর চেয়ে মারাত্মক অপরাধের তথ্যচিত্র বানানো যায়। র্যাব বাংলাদশের একটি প্রয়োজনীয় বাহিনী। র্যাব আছে বলেই আজ আমরা অনেকটা নিরাপদ। আর আমরা এ ও জানি যে, কিছু সংবাদ মাধ্যম চায় না সন্ত্রাস নির্মূল হোক। যত সন্ত্রাস তত খবর, ততই লাভ। এক কথায় দেশের একটা বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে ডয়চে ভেলে।
একইসঙ্গে র্যাব বলছে, ডয়চে ভেলে যে দুইজনকে র্যাবের কর্মী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এরা আসলে কেউই র্যাবের সদস্য ছিলো না। পুরোটাই সাজানো নাটকের মতো। এক কথায় দেশের একটা বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে ডয়চে ভেলে। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী নেটিজেনরা বলছেন, এটা কোন নির্ভরযোগ্য তথ্যচিত্র নয়। নেত্র নিউজের মতো আরো একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্যচিত্র। ছায়া চিত্র, নকল কন্ঠ, নাম ঠিকানা বিহীন সাবেক কর্মকর্তা, ভয়ংকর কিছু বর্ণনা করে যাহা দেশের একটা বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই ডয়চে ভেলে।