চাষের জমি আমাদের অহংকার। এই জমি-ই আমাদের অর্থনীতির একটা বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে, সাধ্য থাকা সত্তেও যদি কেউ তাদের চাষের জমি, চাষ না করে অযথা ফেলে রাখে তবে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। মনে রাখতে হবে, জমির মালিক যেই হোক না কেনো, এই জমি কিন্তু দেশের সম্পদ, জনগণের সম্পদ।
আমার দশ বিঘা জমি আছে বলেই যে, আমি সেই জমি চাষ না করে ফেলে রাখবো, তা মেনে নেয়া যাবে না! যেসব জমি চাষের যোগ্য থাকা সত্ত্বেও, জমির মালিকগণ তাদের জমি বিনা কারণে ফেলে রেখেছেন, সেই সকল জমিগুলোকে সরকার নিজের হেফাজতে নিয়ে, গরীব-দুঃখীর মাঝে বিলি করলে পরে, দেশের এক ইঞ্চি জমিও চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ে থাকবে না। ফলশ্রুতিতে, দেশের উৎপাদন বাড়বে, সরকারের অর্থনীতি সম্প্রসারিত হবে, জনগণের সম্পদ বাড়বে, গরীবের বেদনা কিছুটা হলেও কমবে।
মনে রাখতে হবে, আল্লাহতালা জমিন সৃষ্টি করেছেন মানুষের কল্যাণের জন্যে, আর এ কল্যাণের মূলে আছে ছয়টা জিনিস–১/ সৃষ্টিকর্তার জন্য সেজদা/ প্রার্থনার স্থান ২/ মানুষের জন্য কবরস্থান/ সৎকারের স্থান ৩/ মানুষের জন্য আশ্রয়ের স্থান ৪/ খেয়ে বাঁচার জন্য চাষাবাদের স্হান ৫/ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য স্থান ৬/ মানুষ ও প্রকৃতিকে রক্ষা করার জন্য স্হান। এই ছয়টা কারণ ছাড়া, যদি কেউ ভূমিকে অযথা ফেলে রাখে কিংবা সৃষ্টির অমঙ্গলের উদ্দেশ্যে ভূমিকে ব্যবহার করে তবে, যিনি বা যারা এই সকল কাজের সাথে জড়িত, তারা এই সুন্দর সৃষ্টির অংশ কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে!
আমরা মানুষ ঠিকই কিন্তু আমাদের শরীরসহ, এই মনোরম সৃষ্টির কোনো কিছুই আমাদের নয়! এক মহাশক্তির দয়ায়, আমরা সৃষ্টির সৌন্দর্যকে উপভোগ করছি এবং সৃষ্টির সহায়তায় বেঁচে আছি। যে স্রষ্টার করুণায় ও যে নেয়ামতের বদৌলতে আমরা খেতে পারছি এবং শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করছি, সেই স্রষ্টা ও তাঁর সৃষ্টিকে বিন্দুমাত্র অবহেলা করা, মহাপাপ ছাড়া আর কিছুই নয়! একজন মানুষ, একটা ছাড়পোকার চেয়ে উৎকৃষ্ট তখন, যখন সে আল্লাহকে বিশ্বাস করে, আর সেই মানুষই একটা ছারপোকার চেয়ে নিকৃষ্ট যখন, সে সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করে।
মৃত্যুর পরে কি হবে বা কি হতে পারে, সে বিষয়ে সকলে অবগত। আপাতত, মানুষকে অগ্নিপিন্ডের উপরে রাখা হয়েছে এবং মাথার উপরেও অগ্নিপিণ্ড মানুষের দিকে তাকিয়ে আছে। উপর থেকে আদেশ আসামাত্রই মানুষ বুঝতে পারবে, আদৌ মানুষের কোনো ক্ষমতা আছে, নাকি নেই! যে মানুষ তার জন্ম ও মৃত্যু সম্পর্কে কিছুই জানে না, সেই মানুষের আবার কিসের অহংকার!
জ্ঞান-বুদ্ধি শুধু মানুষেরই আছে, অন্য কোনো প্রাণীর তেমনটা নেই বলেই স্বীকৃত! অথচ পৃথিবীতে, অন্য সকল প্রাণীর চেয়ে, মানুষই খাদ্যের অভাবে বেশি মৃত্যুবরণ করছে। আর এই মৃত্যুবরণের কারণ শুধুমাত্র, গর্ব, হিংসা বিদ্বেষ, লোভ লালসা, সম্পদ ও ক্ষমতা। আল্লাহ, পৃথিবীর মানুষকে যে পরিমান জ্ঞান, সম্পদ এবং তথ্য উপাত্ত দিয়েছেন, তার সঠিক ব্যবহার যদি মানুষ করতো তবে, পৃথিবীতে বর্তমান মানুষের তুলনায় আরো হাজার গুণ মানুষ থাকলেও, একটা মানুষকেও এই মনমুগ্ধকর বসুধায়, খাদ্য, ঔষধ ও মজবুত আশ্রয়ের অভাবে মরতে হতো না!
আমরা মানুষ ঠিকই কিন্তু আমাদের শরীরসহ, এই মনোরম সৃষ্টির কোনো কিছুই আমাদের নয়! এক মহাশক্তির দয়ায়, আমরা সৃষ্টির সৌন্দর্যকে উপভোগ করছি এবং সৃষ্টির সহায়তায় বেঁচে আছি। যে স্রষ্টার করুণায় ও যে নেয়ামতের বদৌলতে আমরা খেতে পারছি এবং শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করছি, সেই স্রষ্টা ও তাঁর সৃষ্টিকে বিন্দুমাত্র অবহেলা করা, মহাপাপ ছাড়া আর কিছুই নয়! একজন মানুষ, একটা ছাড়পোকার চেয়ে উৎকৃষ্ট তখন, যখন সে আল্লাহকে বিশ্বাস করে, আর সেই মানুষই একটা ছারপোকার চেয়ে নিকৃষ্ট যখন, সে সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করে।
মৃত্যুর পরে কি হবে বা কি হতে পারে, সে বিষয়ে সকলে অবগত। আপাতত, মানুষকে অগ্নিপিন্ডের উপরে রাখা হয়েছে এবং মাথার উপরেও অগ্নিপিণ্ড মানুষের দিকে তাকিয়ে আছে। উপর থেকে আদেশ আসামাত্রই মানুষ বুঝতে পারবে, আদৌ মানুষের কোনো ক্ষমতা আছে, নাকি নেই! যে মানুষ তার জন্ম ও মৃত্যু সম্পর্কে কিছুই জানে না, সেই মানুষের আবার কিসের অহংকার!
জ্ঞান-বুদ্ধি শুধু মানুষেরই আছে, অন্য কোনো প্রাণীর তেমনটা নেই বলেই স্বীকৃত! অথচ পৃথিবীতে, অন্য সকল প্রাণীর চেয়ে, মানুষই খাদ্যের অভাবে বেশি মৃত্যুবরণ করছে। আর এই মৃত্যুবরণের কারণ শুধুমাত্র, গর্ব, হিংসা বিদ্বেষ, লোভ লালসা, সম্পদ ও ক্ষমতা। আল্লাহ, পৃথিবীর মানুষকে যে পরিমান জ্ঞান, সম্পদ এবং তথ্য উপাত্ত দিয়েছেন, তার সঠিক ব্যবহার যদি মানুষ করতো তবে, পৃথিবীতে বর্তমান মানুষের তুলনায় আরো হাজার গুণ মানুষ থাকলেও, একটা মানুষকেও এই মনমুগ্ধকর বসুধায়, খাদ্য, ঔষধ ও মজবুত আশ্রয়ের অভাবে মরতে হতো না!
বুদ্ধি ও জ্ঞান আছে বলেই আজ আমরা মানুষ। যদি এই বুদ্ধি ও জ্ঞান মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত না হয়ে, অকল্যাণে ব্যবহৃত হয়, তবে কি আমরা মানুষ! আর এই জন্যই পৃথিবীর মানুষকে, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দুই ভাগে ভাগ করা উচিত। যারা বুদ্ধি ও জ্ঞানকে, মানুষ ও পৃথিবীর কল্যাণে ব্যবহার করছে তাঁরা মানুষ, আর যারা এই বুদ্ধি ও জ্ঞানকে, মানুষ ও পৃথিবীর অকল্যাণে ব্যবহার করছে, তারা অবশ্যই——–।
ধরে নিলাম, আমি আমার বাড়ির প্রধান কর্তা। ঘরের সকলে আমাকে শ্রদ্ধা করে এবং সময়ে সময়ে ভয়ও করে। আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, সংসারের সকল সদস্যদেরকে আগলে রাখা ও শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দেয়া। কিন্তু আমি যদি দিনরাত বাড়ির বাহিরে অবস্থান করি, মদ-জুয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকি, আর এই কারণে যদি আমার স্ত্রী-সন্তান ভুলবশত বিপথে গমন করে তবে, তার দায় দায়িত্ব কার? মনে রাখতে হবে ঘর সংসার, সমাজ, দেশ বা সমগ্র বিশ্বে, আমি যদি কোনো গুরুদায়িত্বে আছি বলে মানুষ জানে বা বিশ্বাস করে তখন, আমার উপর আপনাআপনিই কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তায়। অর্থাৎ শান্তি স্থাপন করার জন্য এগিয়ে আসা। কিন্তু আমি যদি এই কাজটা না করে অবহেলা করি, তবে মনে রাখতে হবে, আমি নিজেও একজন———।
গাছপালা, উদ্ভিদ, তরু লতাকে মানুষ এবং পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমানে আপনি গাছের মালিক বলে, আপার ফলামুল