পাকিস্তানের কারাবন্দী ইমরান খানের দল পিটিআই-এর কয়েকজন প্রতিনিধি আজ শুক্রবার জামায়াত-ই-ইসলামির (জেআই) নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই বৈঠকে ভোট ডাকাতির অভিযোগে দুই দলই একসঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আগামীকাল শনিবার দেশজুড়ে পিটিআই-এর বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও থাকবে জামায়াত।
এ বিষয়ে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াত নেতাদের সঙ্গে দেখা করা পিটিআই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার। বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে তিনি জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে দুই দলের একটাই এজেন্ডা। আর তা হলো—‘ভোট ডাকাতির’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।
কায়সার দাবি করেন—গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যে মাত্রার কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, তা নজিরবিহীন। এ অবস্থায় যে দলগুলো এই কারচুপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে তাদের সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
পিটিআই নেতা বলেন, ‘এই কারচুপির বিরুদ্ধে যারা আওয়াজ তুলেছে আমরা তাদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা একসঙ্গে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাববো। সিদ্ধান্ত বন্ধ ঘরে হবে না। দেশ অস্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে এবং আমরা আইনি লড়াইও করব।
এ সময় শনিবারের দেশব্যাপী বিক্ষোভে জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান আসাদ কায়সার। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়ে তিনি আশ্বাস দেন, কথিত কারচুপির বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকের পর জামায়াত নেতা লিয়াকত বালুচ বক্তব্য দেন। পিটিআই প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচনী ফলাফলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানকে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। এর আগে দলটি নির্বাচনের পরদিনই ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলেছিল। পিটিআই-এর সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগও দাবি করেছেন বালুচ।
জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমরা সব দিক নিয়ে আলোচনা করেছি এবং পাকিস্তানের নির্বাচন যাতে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত হয় তা নিশ্চিত করা রাজনৈতিক শক্তির দায়িত্ব। জামায়াতে ইসলামী তার নীতি ও কৌশল স্পষ্ট করেছে।