হঠাৎ একদিন বাজার তদারকির মাধ্যমে পণ্যমূল্য সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সেজন্য বাজারকে ডিজিটাল তদারকির মধ্যে আনতে হবে। নিয়মিত দেখভাল করতে হবে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষমতা নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর গঠিত হয়েছে। আইনও অনেক শক্তিশালী। তারপরও আমার মনে হয়, জরিমানা আরও বাড়ানো উচিত। এতে করে প্রকৃতপক্ষে যারা সিন্ডিকেটকারী তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জরিমানা ও শাস্তির মাত্রা বাড়ালে তাদের গায়ে লাগবে।
‘জরিমানার পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের ফৌজদারি আইনের আওতায় এবং সামাজিকভাবে হেয় করা দরকার। যাতে তারা এ কাজ থেকে সরে আসে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, বারবার অপরাধ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফৌজদারি মামলার আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে আমাদের। ঈদের পরে আমাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
‘সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রতারণা হচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও অভিযানের পরিকল্পনা করছে। এছাড়া কয়েকদিনের মধ্যে বাসের ন্যায় বাড়তি লঞ্চ ভাড়া নিয়ন্ত্রণেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বেসরকারি ভোক্তা সংগঠন ও গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।