ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে নিরাপদ যাতায়াতের স্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদারের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
শনিবার (৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ দাবিসহ মোট ১০টি সুপারিশ উত্থাপন করেন। ভরা দুর্যোগ মৌসুমে ঈদ উদযাপিত হবে এ বিবেচনায় আগামী ১৫ রমজান (১৭ এপ্রিল) থেকে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন শুরু ও ঈদ-পরবর্তী ১০ দিন অব্যাহত রাখার তাগিদ দেওয়া হয় বিবৃতিতে।
সুপারিশগুলো হলো:
১. বিদ্যমান অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা রোধে নদীবন্দর ও নৌপথসমূহে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু।
২. নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএতে অস্থায়ী ভিত্তিতে অন্তত চারজন করে নির্বাহী হাকিম পদায়ন দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি।
৩. পদ্মার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচলে বিশৃঙ্খল এড়াতে পর্যাপ্তসংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন।
৪. শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়াসহ সব নৌপথে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ।
৫. উপকূলীয়, হাওর ও পাহাড়ি জনপদে অবৈধ ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চ চলাচল বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সম্পৃক্তকরণ।
৬. সারাদেশে যাত্রী ও পণ্যবাহীসহ যেকোনো ধরনের অনিবন্ধিত ও ত্রুটিপূর্ণ নৌযানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখা।
৭. গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলোতে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের তৎপরতা জোরদারকরণ।
৮. সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে টেলিভিশন ও বেতারে প্রতি ঘণ্টায় আবহাওয়ার সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার।
৯. যাত্রীদের সতর্কতার জন্য টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোতে বড় পর্দায় এবং লাউড স্পিকারে আবহাওয়া বার্তা প্রচার।
১০. লঞ্চ ও স্টিমারসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ।
১১. যাত্রীভর্তি নৌযান ছাড়ার আগে ভিডিওচিত্র ধারণ করে টার্মিনাল বা ঘাট কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষণ।
১২. সব টার্মিনালে নিরাপত্তা, শৌচাগার ও ওজুখানায় পর্যাপ্ত পানিসহ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ।
বিবৃতিতে বলা হয়, দূরপাল্লার সড়কে যানজটসহ লাগামহীন দুর্ঘটনার কারণে উপকূলীয় জনপদের মানুষ নৌপথকেই প্রাধান্য দেবে। এতে লঞ্চ-স্টিমারসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযানে যাত্রীর চাপ বাড়বে। অন্যদিকে ভরা দুর্যোগ মৌসুমের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জননিরাপত্তার স্বার্থে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ১২ দফা সুপারিশ উত্থাপন করা হয়েছে।