রানিমা খাতুন নামের এক শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুর-স্বামীর বিরুদ্ধে। পরে পুলিশের সাহায্যে শ্বশুর বাড়ির বাধা উপেক্ষা করে পরীক্ষার হলে পৌঁছেছে ওই শিক্ষার্থী। সোমবার (৭ মার্চ) পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার তেহট্টের মুরুটিয়া ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস করে মুরুটিয়া থানা ও নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহাকে ঘটনাটি খুলে বলেন ওই শিক্ষার্থী। পরে প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে স্কুল পরিদর্শক, পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জ ও প্রধানশিক্ষকের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রানিমার বাড়ি মুরুটিয়ায়। তার বিয়ে হয় ওই এলাকার যুবক সাহারুল শেখের সঙ্গে। রানিমা পড়াশোনা করার বিষয়টি শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানতো না। তাই পরীক্ষা শুরুর দিনেই ঘটে এমন বিপত্তি।
রানিমার অভিযোগ, স্কুলের পোশাক পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় বাধা দেন স্বামী সাহারুল ও শ্বশুর নজরুল শেখ। লকডাউন পরিস্থিতি থাকায় তাকে স্কুলে যেতে হয়নি। ফলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও জানতেন না সে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
তিনি বলেন, আমি বিয়ে করতে চাইনি। আমি চাই না সংসার করতে। পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হতে চাই।
স্ত্রীর পরীক্ষার বিষয়ে সাহারুল বলেন, বাড়ির বউ সংসার করবে! এ পরিবারে বউয়ের পড়াশোনা করার কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে করিমপুর দুই নম্বর ব্লকের প্রশাসনিক প্রধান (বিডিও) হাসানুজ্জামান জানান, ঠিক সময়ে খবর না পাওয়ায় বাল্যবিবাহ আটকানো সম্ভব হয় না। কিন্তু প্রশাসন খবর পেলেই গুরুত্বের সঙ্গে পদক্ষেপ নেয়। আজকের ঘটনা সেটি প্রমাণ করে।