জিরা একটি মসলা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত । কিন্তু মসলার পাশাপাশি এটি বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে । খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানোর জন্য জিরা অনেক কার্যকর । পেটের বিভিন্ন অসুখ কমানোর পাশাপাশি হজমক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয় জিরা। জিরা অ্যাজমার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বক ও চুলের সমস্যা সমাধান করে । জিরার ভিতর রয়েছে অনেকগুলো উপকারিতা। তাহলে জেনে নেওয়া যাক উপকারিতা সম্পর্কে-
জ্বরের প্রাবল্য কমায়
জিরার আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ যা ঠান্ডা লাগা বা জ্বরের প্রাবল্য কমাতে সাহায্য করে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই প্রকৃতিক উপাদান । যার কারণে ভাইরাল ফিভারের প্রকোপ কমে। এক গলাস পরিমাণ ফুটন্ত গরম পানিতে এক চা চামচ জিরা এবং সামান্য আদা মিশিয়ে সেই পানি ভালো করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন । সেই পানি দিনে ২-৩ বার পান করলে জ্বর কমে যাবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার প্রতিকার
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার প্রতিকার করে জিরা । পেটের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে । জিরা হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । যাদের হজমে সমস্যা হয় তারা দিনে ২/৩ বার জিরা দিয়ে তৈরি চা পান করলে অনেক উপকার পাবেন ।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক
জিরায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা অনেকগুলো এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে । পাইলসের কষ্ট কমাতেও সাহায্য করে জিরা । তবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ ভাজা জিরা গুঁড়ো এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে ।
অনিদ্রা দূর করে
সারাদিন পরিশ্রম শেষে রাতে ঘুম ভালো না হলে শরীর অনেক খারাপ করে । যার কারণে সারাদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকবে এবং কোনকাজে মন বসবে না । অনিদ্রার সমস্যা দীর্ঘদিন যাবত থাকলে এটি শরীরে অনেক রোগের সৃষ্টি করে । তাই এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ চটকানো কলার সঙ্গে আধা চামচ জিরার গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে নিতে হবে । কারণ জিরা ও কলা একসঙ্গে খেলে মস্তিষ্কে মেলাটোনিন নামে এক ধরনের কেমিক্যালের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই কেমিক্যাল ঘুম ভালোভাবে হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে এবং অনিদ্রার সমস্যা দূর করে ।