1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির সংবাদ স‌ম্মেলন কোকোর শ্বাশুড়ির মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের শোক সাখাওয়াত ইসলাম রানার ঈদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন মহাসড়কে চাপ বাড়লেও নেই জট, স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ঈদুল ফিতর‌কে কেন্দ্র ক‌রে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়, ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা স্বন্দী‌পের মা‌নু‌ষের কাছ থে‌কে আজ কলঙ্ক মুক্ত হলাম: প্রধান উপদেষ্টা গাউসছে পাক জামে মসজিদের ইফতার মাহফিল ক‌লেজ শিক্ষার্থী‌কে ধর্ষণ‌ চেষ্টার মামলায় ছাত্রদল আহ্বায়ক বহিষ্কার জামালপু‌রে চুরির অপবাদে রাজমিস্ত্রিকে নির্যাত‌নের ভি‌ডিও ভাইরাল পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় ক‌রেও ১৭ শ্রেণীর মানুষ জান্না‌তে যে‌তে পার‌বে না

কু‌মিল্লার ১৭ উপ‌জেলায় ১১ জন নারী ইউএনও কর্মরত

নাগ‌রিক খবর অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫
  • ১৩৭ বার পঠিত

কুমিল্লার ১৭ টি উপজেলার ম‌ধ্যে এগার‌টি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে ১১ জন নারী কর্মকর্তা দা‌য়িত্বরত র‌য়ে‌ছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই জেলার ১১টি উপজেলা ১১জন নারীর নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এ‌দের ম‌ধ্যে অ‌নে‌কে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইউএনওরা ২৪ ঘণ্টায়ই সেবা দেন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি কিংবা নারীর প্রতি সহিংসতা হলে তারা সবার আগে মাঠে যান। এখন প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি তারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের কাজও করেন।

কু‌মিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্র থে‌কে জান যায়, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪ ব্যাচের সাহিদা আক্তার।

২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৪ ব্যাচের ক্ষেমালিকা চাকমা।
২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৫ ব্যাচের রুবাইয়া খানম।
২০২৪ সালের ৩১ জুলাই থেকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৫ ব্যাচের সুমাইয়া মমিন।
২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৫ ব্যাচের নাজিয়া হোসেন।
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৪ ব্যাচের নাঈমা ইসলাম।
২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৫ ব্যাচের ফাহরিয়া ইসলাম।
২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর থেকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৪ ব্যাচের হ্যাপী দাস।
২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৫ ব্যাচের ফাতেমা তুজ জোহরা।
২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৬ ব্যাচের মাহমুদা জাহান।
সবশেষ ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে লালমাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৪ ব্যাচের হিমাদ্রী খীসা।

কুমিল্লার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, ‘আমরা যখন কাজ করি, তখন মনেই হয় না আমরা নারী নাকি পুরুষ। রাতে দিনে খবর আসলেই কাজে নেমে পড়ি। নারী বলে এখন তেমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় না। তবে বর্তমান সময়ে কাজের চাপ অতিরিক্ত। কারণ রাতে গোমতীর মাটি কাটার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান, দিনে বাজার মনিটরিং, উপজেলা প্রশাসনের কাজ, উপজেলা পরিষদের কাজ, ফ্যামিলি তার ফাঁকে অতিরিক্ত আরও দায়িত্ব। কাজকে উপভোগ করি। প্রফেশনাল জায়গায় থাকলে মানুষের সহযোগিতা পাই।

এ সময় তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমি ইমামদের সঙ্গে বৈঠক করি, মসজিদের কাজ পরিদর্শনে যাই, রাতে অভিযান করি। আমার কখনই মনে হয় না আমাকে কেউ অসহযোগিতা করছে। তাই বলাই যায় নারীদের সামাজিক মর্যাদা আগের তুলনায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ‘হোমনা উপজেলার মানুষ সজ্জন। আমি দুই বছর কাজ করে তাদের যা সহযোগিতা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আমি যেখানেই গেছি ইউএনও হিসেবে সবাই দেখেছে। নারী বা পুরুষ এটা দিয়ে কেউ মূল্যায়ন করেনি। মানুষ কার কাছ থেকে সেবা পাচ্ছে সেটা বিষয় নয়। তারা সঠিকভাবে সেবাটা পাচ্ছে কি না তারা শুধু তা-ই চায়। আর আমরাও যখন কাজ করি নারী বা পুরুষ তা মনে থাকে না। আমার লক্ষ্যই থাকে শুধু সেবা।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ‘১৭ উপজেলা ১১ জন নারী দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। কুমিল্লার ১১ উপজেলায় নারী ইউএনওদের পাশাপাশি মনোহরগঞ্জ, ব্রাহ্মণপাড়া, লালমাই, আদর্শ সদর, বুড়িচং উপজেলায় সহকারী কমিশনারও (ভূমি) নারী। কিন্তু নারী বলে কাজে তা‌দের কাছ থে‌কে কোন অসহযোগিতা পাইনি। উল্টো কিছু জায়গায় আমি ওনাদের বেশি সিনসিয়ার হিসেবে প্রমাণ পেয়েছি। ১১ জন নারী কর্মকর্তাকে নিয়ে কাজ করছি। পুরুষ ইউএনওদের সঙ্গে তাদের কাজের কোনও ভিন্নতা দেখিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘ওনারা উপজেলা প্রশাসক, পৌর প্রশাসক, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, উপজেলার স্কুল-কলেজের কমিটির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের অতিরিক্ত চাপ থাকায় আমরা ধীরে ধীরে কিছু কাজ রিমুভ করছি। কিন্তু দায়িত্বে তাদের কখনোই পিছিয়ে থাকতে দেখিনি। সুত্র:বি‌ট্রি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com