1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লার বরুড়ায় গণধর্ষ‌ণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন ‌দেশ বি‌দে‌শের সকল খবর জান‌তে নাগ‌রিক খব‌রের পা‌শে থাকুন মান‌বিক সাহা‌য্যের আ‌বেদন : চি‌কিৎসার অভা‌বে বিছানায় প‌ড়ে আ‌ছে মামুন

আহারে, ইস্!

মাসুম মোল্লা:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১
  • ৪১০ বার পঠিত

প্রতিদিনই বাজার করতে হয়। মাছ মাংসের বাজার সপ্তাহে একদিন করলেই চলে। এগুলো ফ্রিজে রেখে খাওয়া যায়। কিন্তু সবজি? সে তো টাটকা খেতে হবে। এ জন্যই প্রতিদিন বাজারে যেতে হবে। কিন্তু বাজার! সেখানে হাজারো মানুষের মিছিল। গায়ের ওপর গা ঘেঁষে নারী-পুরুষ বাজার করছে। সবজি বাজারে একজনের ঘাড়ে আরেকজন উপচে পড়ছে।

করোনাকালে কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে চলছে দেশ। এরকম যখন পরিস্থিতি তখনো অনেকের মুখে নেই মাস্ক, আবার কারও থুতনিতে ঝুলছে, কেউ বা পকেটে রেখে দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছে। এই ঠেলাঠেলি করে সবজি কিনে বাসায় ফিরেই আবার অফিসে যাওয়ার জন্য তাড়া। গোসল করে, নাস্তা খেয়ে দ্রুত বের হয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখি হাজার হাজার মানুষ। একটি গাড়ি আসছে আর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। গাড়ির হেলপারের ডাক জোড়া ৬০, জোড়া ৬০। অর্থাৎ অর্ধেক সিট খালি রেখে বাস চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সে হিসাবে প্রতি দুই সিটে বসবে একজন। আগে ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। এখন ২৫ টাকা। সেটাও ছাড়িয়ে একজন থেকে নেয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। এটা শুধু এক সিটের জন্য। দুই সিটেই লোক বসানো হবে। নেয়া হবে ৬০ টাকা। আগে যেখানে দুই সিটে পেতো ৩০ টাকা এখন পাচ্ছে ৬০ টাকা। তাইতো বাসের হেলপার, ড্রাইভারের চোখে-মুখে আনন্দ। শুধু কি তাই? হুড়োহুড়ি করে উঠতে গিয়ে সিট পূরণ হয়েও আরও ক’জন দাঁড়িয়ে থাকে। বাসের দুয়েকজন চেঁচামেচি করলেও কোনো ফায়দা হচ্ছে না।

গাড়ি চলতে থাকে। কখনো কখনো হেলপার এসে যাত্রীদের ধমকও দেয়। মনে হয় গোটা গাড়ির যাত্রী হেলপার আর ড্রাইভারের কাছে জিম্মি। একটু এগুলেই পড়তে হয় তীব্র যানজটের কবলে। কত সময় যে চলে যায় রাস্তায় এর কোনো হিসাব নেই। করোনাকালের আগের চিত্রই সর্বত্র। হাসপাতালে যান, সেখানেও লোকে লোকারণ্য। কোনো হাসপাতাল খালি নেই। ডাক্তার থাকুক আর না থাকুক, রোগীদের রাখা হচ্ছে। আয়া আর ওয়ার্ডবয়রা চিকিৎসা দিচ্ছেÑ এমন চিত্রও চোখে পড়ে। আর পাড়া-মহল্লার রাস্তায় যেন বসে মানুষের মেলা। চা স্টল, রেস্টুরেন্টগুলো সরগরম থাকে জটলায়। আর করোনা সে তো শুধু মুখে আর পত্রিকার পাতায়।নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিবুবাজার গিয়ে দেখা যায় এরকম ভয়াবহ চিত্র, একজন কে জিজ্ঞেস করলাম আপনার মাস্ক কই উত্তরে এলো ভাই আনতে ভুলে গিয়েছি

কেউ করোনাকে নিয়ে আতঙ্কিত নয়। কোনো ডরভয় নেই কারও মনে। সরকার আরও এক মাস বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়েছে। কিন্তু বিধিনিষেধ সে তো ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ। এর কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। সীমান্ত অঞ্চলে চলছে মহামারি। এতেও কারও মনে ভয় ঢুকছে না। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টও বাঙালির মনে ভয় ঢুকাতে পারেনি। চলছে জীবন। কেটে যাচ্ছে সময়। তবে আপনজন কিংবা পরিচিত কেউ করোনায় মারা গেলে মুখ থেকে শুধু বেরিয়ে আসে আহারে, ইস্! এখানেই শেষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com