দেশে করোনাভাইরাসের নতুন আটটি বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা হয়েছে, যা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি।বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৫৯০ বার জিন পরিবর্তন করা ভাইরাসটির সঙ্গে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া গেছে ইতালির ভাইরাসের সঙ্গে।
রবিবার (১৮ জুলাই) দেশে করোনা ভাইরাসের ২২২টি জিনোম সিকোয়েন্সিং উন্মোচন করে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে জিনোমিক রিসার্চ ল্যাব প্রধান সেলিম খান বলেন, ২১২ থেকে ৫২৩ পর্যন্ত ৮টি মিউটেশন পেয়েছি ইউনিক, এই মিউটেশনগুলো পৃথিবীর অন্য কোথাও ঘটে নি। আমরা প্রত্যেকটি জিনোম সিকোয়েন্সে ‘ডি৬১৪জি’ করোনা ভাইরাস স্ট্রেইনটি পেয়েছি। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে তার জিনোমিক লেভেলে ৫৯০টি ও প্রোটিন লেভেলে ২৭৩টিরও অধিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ‘ডি৬১৪-জি’ করোনা ভাইরাস স্ট্রেইনটি সিকোয়েন্সিংয়ে শনাক্ত হয়েছে, যাকে আমরা বাংলাদেশে সংক্রমণের প্রধান কারণ হিসেবে বলছি।
তিনি আরো বলেন, ডি৬১৪-জি’ ধরনটি নিয়ে চীনের গবেষকরা বলছেন, করোনা আক্রান্তদের দেহে যে এন্টিবডি তৈরি হয়, তা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনগুলোকে ঠেকাতে পারলেও ‘ডি৬১৪-জি‘র ক্ষেত্রে অসহায় হয়ে পড়ে।
করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের ডাটার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী ৭৮টি ভ্যাকসিন প্রকল্প চালু আছে। আরো ৩৭টি চালু হবে। বাংলাদেশের ডাটাগুলো Global Initiative on Sharing All Influenza Data (GISAID) প্রকাশ করেছে। ফলে যে কেউ চাইলে ভ্যাকসিন ডিজাইনের জন্য বাংলাদেশের ডাটা নিয়ে কাজ করতে পারবে।