ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনায় আটক রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। পুলিশ জানায়, কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হকের লোকজন মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ করেন। মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ থেকে ছাড়া পেয়ে রফিকুল মাদানী বলেন:
পুলিশ থেকে ছাড়া পেয়ে ফেসবুক লাইভে রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, আমি আপনাদের সামনে এসেছি এটা জানানোর জন্য যে আমি এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। মতিঝিল… পল্টন থানায় কিছুক্ষণ ছিলাম। আমি সব বিষয়ে ইনশাল্লাহ পরে কথা বলব। খুব টায়ার্ড, টায়ার্ড আছি।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু একটা কথাই বলব- আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলব, আমি কাউকে দেখানোর জন্য যাইনি। আমার ইসলামী মূল্যবোধ থেকে, যে মোদি বাংলাদেশে আসবে, তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে, তাঁকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা দেওয়া হবে; এগুলো দেখতে একটা মুসলমান হিসেবে খুব খারাপ লাগবে।’ সেই জন্যই প্রতিবাদ করতে তিনি সেখানে যান বলে জানান।
তিনি গাজীপুরের নিজ মাদরাসার দিকে যাচ্ছেন জানিয়ে বলেন, আমার নিজের মদরাসায় মাহফিল আছে। সেখানে সবাই যোগদান করবেন। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে তিনি পরে কথা বলবেন বলেও জানান।
এর আগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় দুপুর ১২টার পর তাকে আটক করা হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে অভিভাবকদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পল্টন মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আশরাফুল হক বলেন, আটক শিশুবক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিকেল ৫টার দিকে পল্টন থানা থেকে তার অভিভাবক এসে তাকে নিয়ে যান।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র অধিকার পরিষদ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। আধঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় শিশুবক্তা রফিকুল ইসলামসহ ১১ জনকে আটক করে পুলিশ।