পাবনার আতাইকুলা ছাদে উঠে মাথায় গুলি চালিয়ে এক এসআই আত্মহত্যা করেন।
থানা ভবনের ছাদে উঠে নিজের পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান আলী (২৭)। রোববার (২১ মার্চ) সকালে পাবনার আতাইকুলা থানা ভবনের ছাদে তার মৃতদেহ দেখতে পান সহকর্মীরা।রোববার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তার সহকর্মীদের ধারণা। হাসান আলী যশোর বালিয়াডাঙ্গী কেশবপুর গ্রামের জব্বার বিশ্বাসের ছেলে। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, হাসান ৮ ফেব্রুয়ারি আতাইকুলা থানায় যোগদান করেন। তিনি দরিদ্র ঘরের সন্তান ছিলেন। আর্থিক অনটনের মধ্যে ছিলেন তিনি। এসব হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে পুলিশের ধারণা।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, কিভাবে বা কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত হতে পারে।
তিনি জানান, পুলিশের ফরেনসিক টিম রওনা হয়েছে। টিম আসার পর তার মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করা হবে। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হবে।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় পাবনা পুলিশলাইন মাঠে তার জানাজা হবে। এরপর মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এর আগে আইনি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
ওসি আরও জানান, তিনি আত্মহত্যার আগে থানা ভবনের ছাদে গিয়ে কথা বলছিলেন। তার আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। কিছু আলামত এরই মধ্যে পাওয়া গেছে। সেসব ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে বলে জানান।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা,
এসআই হাসান আলী স্যার পুলিশ হয়ে জন্মগ্রহণ করেনি। তার বাবা মা ভাই বোন স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতো। তাই তার যোগ্যতা বলে সে একটি সোনার হরিণ পেয়েছিল কিন্তু সে হয়তো জানতো না এটা আসলে সোনার হরিণ নয়।
সে পাগল ছিল না, কারণ যেকোনো বাহিনীতে পাগল ভর্তি করেনা। অনেক যাচাই-বাছাই করার পর একজন এসআই তে ভর্তি করে। তারপর কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায় তার চাকরি কনফার্ম হয়। তাহলে কেন এরকম হবে!!!
সে আত্মহত্যা করেনি,
এই সমাজ/এই বাহিনী/কিছু নিয়ম নীতি/এই রাষ্ট্র তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।।।
সামনের দিনগুলো কিরকম হবে তার আগাম বার্তা দিয়ে গেলেন। তবে বলব সবাই ভালো থাকুক শান্তিতে থাকুক, মরতে সবাইকে হবে যার যার হিসাব তাকেই দিতে হবে, সেখানে কোন রাজনৈতিক পরিচয় নাই সেখানে কোন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নাই, সেখানে কোন তোষামোদকারী নাই ।
এএসআই মোতাহের হোসেন মাহবুব
নোয়াখালী জেলা পুলিশ।