আদা শুধু একটি মসলা নয়। ঔষধি গুণাগুণ সম্বলিত আদাতে রয়েছে ফাইবার, ক্যালরি এনার্জি, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান যা একাধিক রোগ-ব্যাধির মোকাবিলায় সাহায্য করে। আদা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন ও কার্যকরী। তাই সুপারফুডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এ মসলা।আদার নানা গুণাগুণ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই এর স্বাদ পছন্দ করেন না। কিন্তু তারপরেও কোনো না কোনোভাবে আদা খেতে হবে।
আদার গুনাগুন :
আদার অনেক ঝাঁজালো স্বাদ। তবে চায়ের সাথে এর মেলবন্ধন চমৎকার। সকাল বেলা শরীর ও মনকে চাঙ্গা করতে আদার তৈরি এক কাপ চা যথেষ্ঠ।
হজমের সমস্যা, বুক জ্বালা বা গ্যাস অম্বলে আদা অত্যন্ত কার্যকরী। শরীরের ব্যথা-বেদনার উপশমে আদার প্রভাব আশ্চর্য রকমের! আদার রসে থাকা জিঞ্জেরল কাজ করে আইবুপ্রোফেনের মতো ব্যথার ওষুধের মতোই।
মাঝে মাঝে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়। অনেকের মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে মাথা ব্যথায় ভুগেন। কোনো ওষুধে খুব বেশি কাজ করে না। তখন আদা একটু তৃপ্তি দিতে পারে। আদার অ্যান্টিহিস্টামাইন, অ্যান্টিনসিয়া উপাদান মাথা-ধরার অস্বস্তি থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে সক্ষম।
বয়স হওয়ার সাথে সাথে অনেকের জয়েন্ট পেইন হয়। হাঁটতে কষ্ট হয়, এমনকি বেশিক্ষণ বসে থাকাও যায় না। নিঃসন্দেহে একজন ডাক্তারের থেকে ভালো কাজ করবে এমন ওষুধ কেউ দিতে পারবে না। কিন্তু আদা ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে আদা। আদা ক্যালরি চটজলদি বার্ন করতে সক্ষম। তাছাড়া, আদার রস কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম করায়, মেটাবলিজম রেট বাড়ায়, ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদা অত্যন্ত কার্যকরী। এর জন্য প্রতিদিন ৭৫ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম আদাই যথেষ্ট। ঠাণ্ডা-গরমে খুসখুসে কাশি বা সর্দির সমস্যায় আদার রস খুবই কার্যকরী। খুসখুসে কাশিতে গলার ভেতরের অস্বস্তি কমাতে আদার জুড়ি মেলা ভার।
আদা সব থেকে বেশি পরিচিত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মসলা হিসেবে। মাংস রান্না আদা ছাড়া একদমই অসম্ভব। সকল মসলার মধ্যে আদার স্বাদ অনেক বেশি স্বাধীন।
Leave a Reply