চোখের সামনে নিমিষেই দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে কয়েক বছরের সম্পর্ক, খুব সহজেই।সম্পর্কগুলোতে ভালোবাসার একটুও কমতি ছিল না কিন্তু!অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার যে লড়াইটা ওরা শুরু করেছিল সেই লড়াইটা কেউই শেষ করতে পারে নি এখনো অবধি।”ইগো”হয়তো জিতে গিয়েছে তার নিজের নিয়মে।অনেকেই হয়তো তাতে খানিকটা সুখ অনুভব করেছে।কিন্তু সম্পর্কটা!ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্কগুলো নিয়ে কেউ ভাবে কি কখনো?
কোনো এক অবুঝ রাতে অতীতের সম্পর্কগুলো হৃদয়কে নাড়িয়ে তুলে হয়তো চোখের জলকে থামতে বাধ্য করতে পারবে না।অবাধ্য কোনোকিছুকে কি কখনো সামলে নেওয়া যায়?
সত্যিকারের বন্ধুত্বের সম্পর্ক খুব পবিত্র হয়।এখানে স্বার্থের কোনো মূল্য থাকতে নেই।নিজে জিতে যাবো জেনেও সবশেষে বন্ধুর সাথে তাল মিলিয়ে নিজের জায়গাটা তার সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার নামই বন্ধুত্ব।এর মাঝে যে কতটা ভালোবাসা, কত আবেগ, রাগ, অভিমান লুকিয়ে থাকে তার খবর কি কখনো রেখেছে কেউ?
কোনো এক বন্ধুকে টপকিয়ে তার স্হানটা দখল করে হয়তো একরকম ভয়ঙ্কর আনন্দ পাওয়া যায়।কিন্তু সেটা কি আসলেই কারোর মানসিক আনন্দের খোরাক জোগাতে পারে?কারোর মনেই কি সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার কষ্টটা একটুও অনুভূত হবে না। “ইগো”টা কি এতটাই দামী!যার জন্য বছর,মাস কিংবা কয়েকদিনের ভালো সম্পর্কগুলোকেও অস্বীকার করা যায় নির্দ্বিধায়! একটুও খারাপ লাগে না কি তাতে ?
রায়ান হলিডে নামের একজন লেখক তাঁর বিখ্যাত বই “Ego is the Enemy” তে বলেছেন: ইগো হচ্ছে “নিজের বড়ত্বের প্রতি একটি অস্বাভাবিক বিশ্বাস।
লেখক:
রুবায়েত হোসেন