১ ফেব্রুয়ারি “বিশ্ব হিজাব দিবস”
ইসলামে নারীদের পর্দাকে ফরজ করা হয়েছে। ফরজ মানে অবশ্য পালনীয়। আর হিজাব মানে নারীর পুরো শরীর হিজাব/আবৃত করা। শুধু মাথায় একগাদা কাপড় পেঁচিয়ে, গায়ে টি শার্ট আর পায়ে জিন্স পড়া নয়।
অথচ, আমাদের অনেক বোনেরা বলেন, “মনের পর্দাই হলো বড় পর্দা”। আর এই কথার ছলে তারা আধুনিকতার নামে ছোটখাটো এবং খোলামেলা পোশাকে, পর পুরুষদেরকে নিজের শরীরের ভাঁজ দেখিয়ে অবাধে রাস্তাঘাটে, অফিস আদালতে ঘুরে বেড়ান।
আমাদের অনেক ভাইয়েরাও বলেন, ‘নারীর পর্দা তার মনে, পোশাকে নয়”। এই কথার ছলে তারা তাঁদের বোন, স্ত্রী এবং কন্যাদের আধুনিকতার নামে খোলামেলা পোশাকে রাস্তায় বের করে পরপুরুষদের দেখিয়ে গর্ববোধ করেন।
যেখানে পর্দাকে ফরজ করা হয়েছে সেখানে এই “মনের পর্দা” কথাটা আপনারা কোরানের কোন আয়াতে পেলেন?অথবা কোন হাদিসে পেলেন? এখানে আবার প্রশ্ন থেকে যায়, কোরান আপনি চিনেনতো?পড়তে পারেনতো? ব্যাপারনা। না চিনলে এখনো সময় আছে নিজেকে শুধরে নেওয়ার। জানুন এবং মানুন।
বোনেরা শুনুন, আজকে আপনি খোলামেলা পোশাকে চলছেন?আপনি চাইলেই কাল থেকে ইসলামি লেবাস পড়তে পারেন। আপনাকে কেউ কিচ্ছু বলবেনা। যদি কেউ বলেও তাহলে বুঝে নিবেন তাদেরকে এখনো আল্লাহ হেদায়েত করেননি কিন্তু আপনি সৌভাগ্যবতী। আল্লাহ আপনাকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন তাই আপনি পরিবর্তন হতে পেরেছেন।মৃত্যুর পর আল্লাহ আপনার আধুনিকতার হিসেব নিবেননা। আপনার সার্টিফিকেটের হিসেব নিবেননা।আপনার বেতন বাড়ি গাড়ি এগুলোর হিসেবে নিবেননা।
আপনার ধর্ম যদি ইসলাম হয় আর আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে, অবশ্যই আপনাকে আপনার ধর্মীয় পোশাকেই চলতে হবে। আপনি চলতে বাধ্য। কারন ইসলামি পোশাক পরিধান করার আদেশ আপনি জন্মসূত্রেই পেয়েছেন।।
আমার বাংলার নারীরা সবাই হিজাবী হোন। এই বাংলায় ইভ টিজিং, ধর্ষন এগুলো কমে আসুক। বাংলার অফিস আদালত রাস্তাঘাট সর্বত্র আমাদের নারীরা ইসলামি পোশাকে চলাফেরা করুক এটাই চাই। ইসলাম নারীকে ঘরে আটকে রাখার ধর্ম নয়। স্বাধীনতার ধর্ম। আর সেটা অবশ্যই ইসলামি পোশাকে।।আল্লাহ সবাইকে হেদায়েতের পথ দেখান এই দোয়া করি। আমীন।।
লেখক: কানিজ ফাতেমা নীপা
এফবি টাইমলাইন থেকে সংগৃহিত