প্রায় সময় আপনার প্রেমিকার মন খারাপ বা মুড অফ। এমন সময় নিশ্চয়ই আপনি তার ভেতরে চাঙাভাব এনে দিতে চান। সে ভালো বোধ করুক, এটা চান। প্রেমিকাকে আপনি ভালো রাখতে চান, কারণ, আপনি তাকে ভালোবাসেন। কিছু উপায় রয়েছে, যা আপনার প্রেমিকার মনকে সতেজ করবে।
ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে এমন কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা আপনার প্রেমিকার মনকে চাঙা করবে। আসুন, সে পরামর্শগুলো জেনে নিই—
পছন্দকে প্রাধান্য দিন:
আপনার প্রেমিকার পছন্দ একটু ব্যতিক্রম হতেই পারে। এমন কিছু সে ভালোবাসে, যা আপনার পছন্দ না-ও হতে পারে। কিন্তু তা সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো বাধা হতে পারে না। যত্নবান সঙ্গী হিসেবে আপনার অবশ্যই প্রেমিকার পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি আপনি তার পছন্দ ও অগ্রাধিকারকে প্রাধান্য দেন, তবে সে নিশ্চয়ই ভালো বোধ করবে এবং আপনাকে আরও ভালোবাসবে।
কী বলতে চায় শুনুন:
নিশ্চয়ই প্রেমিকা আপনাকে ভালো শ্রোতা হিসেবে দেখতে চায়। যদি দেখেন, আপনার প্রেমিকা কিছু বলতে চায়, তা হলে আপনার শোনা উচিত। তার ভেতরে যেন এই বোধ না আসে, আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন বা তার কথা শুনতে আপনি অনাগ্রহী।
মিষ্টি বার্তা পাঠান:
মিষ্টি ও হৃদয়ছোঁয়া বার্তা যে কারও দিনকে সজীব করে তোলে। আপনি হয়তো জানেন না, একটি ছোট বার্তা আপনার প্রেমিকাকে কত আনন্দ দিতে পারে। কারণ, প্রেমিকাকে ম্যাসেজ দিচ্ছেন মানে তার কথা আপনি ভাবেন। বার্তা পাওয়ার পর সে নিশ্চয়ই পুলকিত হবে।
প্রচেষ্টা ও অর্জনের প্রশংসা করুন:
আপনি যদি প্রেমিকার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন, তবে এটি তাকে ভালো অনুভূতি এনে দেবে। আপনার প্রশংসা তাকে জানান দেবে, আপনি তাকে ভালোবাসেন ও তার প্রতি যত্নবান। তার ভেতরে এই অনুভূতি আনুন, আপনি তার কাজে গর্বিত। তবে অবশ্যই মিথ্যা প্রশংসা করবেন না।
প্রয়োজনে পরামর্শ দিন:
কখনো এমন সময় আসে, কিছু বিষয়ে আপনার পরামর্শের প্রয়োজন হতে পারে প্রেমিকার। সঙ্গী হিসেবে আপনি তা এড়িয়ে যেতে পারেন না। আপনি নিশ্চয়ই চান না, সে ভুল করে বসুক। তাই প্রয়োজনে তাকে সঠিক পরামর্শ দিন। আর অন্য সময় তার কথা শুনুন এবং উৎসাহব্যঞ্জক কথা বলুন।
শান্ত ও ধৈর্যশীল হোন:
এমন সময় আসতে পারে, যখন আপনার প্রেমিকার মন খারাপ। খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছে না। সে কারণে তার আচরণেও পরিবর্তন আসতে পারে। ধরা যাক, আপনার প্রেমিকা কোনো কারণে বিরক্ত ও হতাশ। এমন পরিস্থিতিতে তার আচরণ বদলাতেই পারে। এ সময় আপনাকে শান্ত থাকতে হবে, ধৈর্য হারালে চলবে না। আপনাকে তার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
খোশমেজাজে থাকুন
প্রেমিকার সঙ্গে আলাপকালে খোশমেজাজে থাকুন। কিছু রসাত্মক কথাবার্তা তো বলতেই পারেন। কঠিন সময়েও সামান্য রসিকতা ভাব পরিবর্তনে সহায়তা করবে। গোমড়ামুখো হয়ে থাকার চেয়ে এটা ভালো উপায়। কিন্তু মনে রাখবেন, যখন প্রেমিকাকে হাসাতে চেষ্টা করবেন, তখন যেন সেটা উপহাস হয়ে না যায়। এমন কিছু বলবেন না, যাতে তার অনুভূতিতে আঘাত লাগে।
শখকে প্রাধান্য দিন
আপনার প্রেমিকার শখ কী, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন। সেই শখ পূরণের চেষ্টা করুন। এতে সে ভালো বোধ করবে। যেমন—এ সময় আপনি তার প্রিয় বই পড়ে শোনাতে পারেন, তার প্রিয় খাবার রান্না করে খাওয়াতে পারেন বা একসঙ্গে বসে প্রিয় সিনেমা দেখতে পারেন। সে কী ভালোবাসে, তা আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে।
নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবেন না
আপনি যদি প্রেমিকার পছন্দ, চিন্তাভাবনাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তা হলে সে হতাশ হবেই। সে কী করতে পছন্দ করে, কোন ধরনের পোশাক পরতে ভালোবাসে বা কী খেতে পছন্দ করে—এসব তার ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং আপনি তাতে নাক গলাবেন না। তার যেকোনো কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা না করে সহায়ক হোন এবং তাকে উজ্জীবিত করুন।
আপনি নিশ্চয়ই চান, আপনার প্রেমিকা সদা হাস্যোজ্জ্বল থাকুক। আর তাকে হাসিখুশি রাখার জন্য আপনি অবশ্যই উক্ত পদক্ষেপগুলো নিতে চেষ্টার ত্রুটি করবেন না, প্রেমিক হিসেবে এটা প্রত্যাশা করাই যায়। সংগৃহিত