বেতন কম দায়িত্ব বেশি, চাকুরিটার নাম ইমামতি! অন্যান্য চাকুরিতে মালিকপক্ষ থাকে এক দুই জন। আর ইমামতি চাকুরিতে মালিকপক্ষ শত শত জন। একজন মাত্র মালিকের অধিনে হাজার হাজর লোক চাকুরি করে থাকে। তারপরেও কোন কোন সময় মালিক পক্ষকে সন্তুষ্ট করা যায় না। আর ইমামতিতে এক জন মাত্র ইমামের পক্ষে শত শত মানুষের শত শত মনকে রক্ষা করা কি সাধারন কোন কথা ?
ছুটিতে যেয়ে যদি কোন কারনে মাত্র একদিনের বেশি ছুটিতে থাকে, তাহলেই শুরু হলো চিল্লা চিল্লি যে, এই মাসের বেতন দেওয়া যাবে না, ইমাম বাদ দিয়া আরেকজন নিয়োগ দাও।
তখন মসজিদের সমস্ত মুসুল্লিরাই যেন ইমামের বসের ভূমিকা পালন করে।বিশেষ করে যারা ইমাম সাহেবের উচিত কথায় জ্বলে।পান থেকে চুন খসলেই যেন রক্ষা নাই!”আঙ্গুল উঁচিয়ে ধমকের সুরে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করে না”!
আমি মাঝে মধ্য ভাবি যে, এই লোকগুলি যদি এমপি বা মন্ত্রি হতে পারতো তাহলে জনগনের বারোটা বাজিয়ে ছাড়তো। মাসে এক শত টাকা মসজিদে চাঁদা দিয়াই যেই পরিমান তাফালিং করে, ইমামের উপর যেভাবে নজরদারী করে, তা দেখে গা জ্বালা করে।
কার মহল্লার মসজিদকে কতো সুন্দর করা যায়, কত রকমের ডিজাইন করা যায় তাহা নিয়া প্রতিযোগিতার শেষ নাই। তখন টাকার হিসাবও নাই। যত টাকাই লাগুক না কেন টাকার অভাব নাই। কিন্তু ইমামের বেতন পাঁচ – ছয় হাজারের বেশি দিতে রাজি না।
হায়রে মানুষ!”! একজন ইমামের অবমাননা করেও দৌড়িয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে চাও !!
মনে রাখবে ইমাম কারো চাকর না! তিনি “ওরাছাতুল আম্বিয়া” অর্থাৎ যেই মিম্বারে নবীজী (সাঃ) বসতেন, সেই মিম্বারেই কিন্তু একজন ইমাম বসেন।
অতএব , অবমাননা করছো? কার সাথে বেয়াদবি করেছো? একটুও ভেবে দেখো!
হে আল্লাহ বাংলাদেশের ইমামদের
তুমি হেফাজত করো। সবাই নিজেকে পরিবর্তন করি। যোগ্য ব্যক্তিদের মুল্যায়ন করি ! যোগ্যদের মুল্যায়ন করা আপনার আমার দায়িত্ব।
মতামত বিশ্লেষন : শাহরিয়ার সবুজ