ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই। এরই মধ্যে নতুন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, যদি রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করে তাহলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির।
বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি তার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বিশ্ব তার ‘যথাযথ পরিণতি’ দেখতে পাবে।
সাংবাদিকরা বাইডেনকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দিয়ে বলেন, ইউক্রেন সীমান্তের বিষয়ে যদি রাশিয়া কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে বিশ্ব তার ‘বিশাল পরিণতি’ দেখবে। আর সেটা হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আক্রমণ।
এমন এক সময়ে বাইডেন এই হুঁশিয়ারি দিলেন যখন পশ্চিমা নেতারা বারবার ইউক্রেনে আক্রমণ নিয়ে রাশিয়াকে বারবার সতর্ক করছে। অন্যদিকে মস্কো ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনা তৈরির পিছনে প্রথম থেকে যুক্তরাষ্ট্র দায়ী বলে অভিযোগ করে আসছে। ইউক্রেন আক্রমণের বিষয়টি অস্বীকার করেছে মস্কো।
ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৮ হাজার ৫০০ সেনা উচ্চ সতর্কতায় অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। যেকোনো সময় প্রয়োজন হলেই যেন তারা মাঠে নামতে পারেন সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়াও ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে। যদিও মস্কোর দাবি, সীমান্তে নিরাপত্তার খাতিরেই তারা সেনা মোতায়েন করেছে। যুদ্ধের কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।
তবে পেন্টাগন এখনো ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করবে কি না সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি। তারা বলছে, এটা তখনই ঘটবে যখন ন্যাটো সামরিক জোট দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল বাহিনীকে সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেবে। অথবা যদি অন্য পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু এখনই ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে ডেনমার্ক, স্পেন, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডসহ আরও কিছু ন্যাটোভুক্ত দেশ এরই মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো বলছে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। তারা বাড়তি সৈন্য প্রস্তুত রাখছে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করছে।
এর আগে সোমবার জো বাইডেন তার ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে এক ভিডিও কলে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা শক্তিকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।