1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই

‌গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৬ বার পঠিত

চল‌তি মা‌সের ৮ ন‌ভেম্বর রাজনৈতিক মামলায় কারাবন্দি হন স্কুল পড়ুয়া সাজ্জাদের দিনমজুর বাবা জামাল মিয়া। এতে দুই নবজাতক বোনসহ তিন বোনকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে সাজ্জাদ। বোনদের মুখে দিতে পারছে না খাবার।

সাজ্জাদ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার চিত্রাপাড়া গ্রামের জামাল মিয়ার বড় সন্তান। স্থানীয় এম এম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সে।

জানা যায়, জামাল মিয়া পেশায় দিনমজুর। এক মাস আগে জামাল মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর ছয় দিন পর সাথী বেগম মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সদ্য জন্ম নেওয়া দুগ্ধপোষ্য দুই কন্যাসহ চার ছেলেমেয়ে নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন জামাল মিয়া। ঘরে অসুস্থ মা ও চার শিশু সন্তানের লালন পালন করে দিন কাটছিল তার।

এ অবস্থায় গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ জামাল মিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। এরপর গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ পরদিন শনিবার (৯ নভেম্বর) জামাল মিয়াকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।

জামাল মিয়ার ভাই মনির মিয়া বলেন, আমার ভাই কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নেই। একসময় সে আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিল। পুলিশ কী কারণে আমার ভাইকে ধরে নিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। তার সন্তানদের ঘরে খাবার নেই। কষ্টে দিন পার করছে তারা। এর মধ্যে নবজাতক দুই শিশুর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।

তিনি আরও বলেন, ভাইয়ের প্রথম সন্তান সাজ্জাদ মিয়া এম এম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। দ্বিতীয় সন্তান ফারিয়া চিত্রাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। এ ছাড়া এক মাস বয়সী দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে তার। এই দুই সন্তান জন্মের ছয় দিনের মাথায় জামালের স্ত্রী সাথী বেগম মারা যান। বৃদ্ধা মায়ের দেখাশোনাও জামালই করতেন। এখন জামালের চার শিশুসন্তান ও বৃদ্ধা মায়ের দেখাশোনা করার কেউ নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমি আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই।

জামালের ছেলে সাজ্জাদ মিয়া জানায়, কয়েকদিন পরই আমার বর্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়িতেও পড়তে পারি না। আমার স্কুলের বেতন ও পরীক্ষার ফি কে দেবে? আমার এক মাস বয়সী দুই বোনের দুধের টাকা কে দেবে? আজ চার দিন আমাদের চুলা জ্বলে না। বাড়ির আশপাশের লোকজন আমাদের খাওন দিচ্ছে, এভাবে কয়দিন চলবে? আমার বাবাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আমাদের বাবাকে ফেরত চাই।

জামাল গ্রেফতা‌রের বিষ‌য়ে জান‌তে চাই‌লে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জামাল মিয়া ঢাকার তেজগাঁও থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিল বলে আমরা জেনেছি। গত শুক্রবার তাকে আটক করে দিদার হত্যা মামলায় সদর থানায় পাঠানো হয়। সেখানে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সে কারাগারে আছে। বি‌ট্রি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com