গত ২১ মে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও হামাস ও ইসরায়েল এখনো স্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি। এর মধ্যে ইসরায়েলে সরকার বদল নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলে সরকারের নেতায় পরিবর্তন এলেও তাতে খুব কমই পার্থক্য দেখছেন ফিলিস্তিনিরা। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
এখন যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যত নিয়ে হামাস জানাচ্ছে, পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে ইসরায়েলের ব্যবহারের ওপর। সংগঠনের মুখপাত্র সামি আবু জুহরী দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়টিকে যতদিন ইসরায়েল সম্মান করবে ততদিন তারাও এই পদক্ষেপকে সম্মান জানাবে। যদি ইসরায়েল এটি মেনে না নেয় তাহলে আমাদেরও এর মুখোমুখি হতে হবে।
ইসরায়েল চুক্তিতে সম্মান করে না অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিম তীরের শহরগুলোতে তারা প্রতিনিয়ত আক্রমণ চালাচ্ছে। এবং জেরুজালেমের স্থানীয় বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার হুমকি এখনো রয়েছে। সহিংসতার এমন ধারাবাহিকতা আরো একটি সংঘাতের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলে নতুন জোট সরকার গঠনে বিরোধী দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে। গত বুধবার বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে টানা আলোচনার পর প্রধান বিরোধী দলের নেতা ইয়ার লাপিড দেশটির প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিনকে এই ঐকমত্যের খবর জানান।
তারা শিগগিরই সরকার গঠন করবেন। তার মাধ্যমে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর টানা ১২ বছরের শাসনের অবসান হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..