হোয়াইট হাউজে অভিষেকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় চন্দ্রশিলা দ্বারা সজ্জিত হয়েছে। তার ডেস্কের বাঁ পাশে এই এক টুকরো চাঁদের পাথর শোভা পাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার অফিসকক্ষের অন্দরসজ্জার অংশ হিসাবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) কাছে সেই চন্দ্রশিলা ধার নিয়েছেন। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইচ্ছা আনন্দের সঙ্গেই পূরণ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জনসন স্পেস সেন্টার।
নাসার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের অফিসকক্ষে চন্দ্রশিলা- এটি একটি প্রতীকী অর্থ বহন করে। শুধু এটি সজ্জার অংশ নয়। এটি নতুন প্রজন্মের আবেগ ও স্বপ্নকে প্রতিনিধিত্ব করে; যা আমেরিকার বর্তমান চন্দ্র ও মঙ্গলগ্রহের অনুসন্ধানের দিকটি এগিয়ে নেবে।
বাইডেনের অফিসের চন্দ্রশিলাটির নাম ‘লুনার স্যাম্পল ৭৬০১৫,১৪৩’। চন্দ্রশিলাটি ১৯৭২ সালের অ্যাপোলে ১৭ অভিযান থেকে সংগৃহীত হয়েছে। এটির ওজন ৩৩২ গ্রাম। কিন্তু মহাকাশ সংস্থাটি বলছে, শিলাটি প্রায় ৪০০ কোটি বছরেরও বেশি পুরনো।
নাসা পরিকল্পনা করছে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে নারী অবতরণ করবে। অন্যদিকে বাইডেন আশা করছেন, সংস্থাটির প্রশাসনিক ভূমিকায় নারী নেতৃত্বও আসবে। উল্লেখ্য, নাসার প্রতিষ্ঠা ১৯৫৮ সালের পর থেকে সংস্থাটিতে পুরুষদের দখলে রয়েছে।