হাতের কবজি না থাকায় ভিআইপি এলাকায় রিকশা চালানোর সুযোগ নিয়ে ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত শাকিলসহ ৫ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় শনিবার ছিনতাইয়ের শিকার হামিদ হত্যার সাথেও তারা জড়িত বলে জানায় পুলিশ। অপরাধের ধরন অনুযায়ী অভিযান চালানো হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।
একটি কারখানায় কাজ করার সময় হাতের একটি কবজি কাটা যায় শাকিলের। শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মোটর চালিত রিকশা চালানোর সুযোগ দেয় পুলিশ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সন্ধ্যার পর ছিনতাই করা শুরু করে শাকিল।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে গেল শনিবার সন্ধ্যার কিছু পরে হাইকোর্ট এলাকায় অটোরিকশা নিয়ে অবস্থান করছিলো শাকিলসহ পাঁচজন। ওই সময় পল্টনের বাসায় যাচ্ছিলেন টিভি ক্যাবল ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম। হামিদের পথরোধ করে ছিনতাই করে তারা। পকেটে থাকা ১২ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের সময় হামিদ চিৎকার করলে সোহেল ওরফে এরাবিয়ান সোহেল তার সেভেন গিয়ার চাকু দিয়ে হামিদের পায়ে ও হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, কিলিংস স্কোয়াডের যারা সদস্য তারা প্রত্যেকে পেশাদার ছিনতাইকারী। টাকা পয়সা নেয়ার জন্য টিভি ক্যাবল ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলামকে বাধা দেয়। হামিদুল চিৎকার করলে তার পায়ে ছুরিকাঘাত করে। এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, ছুরিকাঘাতে হামিদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় শাকিলসহ বাকি আসামিরা। পরে এক ভ্যানচালক ঘটনাস্থল থেকে হামিদুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামিদ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..