প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার আগে বিদায়-ভাষণ দিলেন ট্রাম্প। সেখানে বললেন, ”আমায় কঠিন লড়াই করতে হয়েছে. আর সেটা করার জন্যই আপনারা আমাকে পাঠিয়েছিলেন।”
বুধবারই (২০ জানুয়ারি) জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার নেবেন। ট্রাম্প হয়ে যাবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। তবে তিনি এখনো যে তাঁর হার ও বাইডেনের জয় মেনে নিতে পেরেছেন, এমন নয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে ট্রাম্পের টিমকে ড্যামেজ কন্ট্রোলে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। ভোটের ফলাফল বদল করার দাবি নিয়ে ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকরা যে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন, তার ড্যামেজ কন্ট্রোল এখনো হয়নি।
ভিডিওতে ট্রাম্প নিজেও ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, ”অ্যামেরিকায় আমরা গণতন্ত্র নিয়ে গর্ব করি। রাজনৈতিক সহিংসতা তার উপর আঘাত।” তবে ভাষণে একবারের জন্যও বাইডেনের নাম নেননি তিনি।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন। তিনিই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যাঁর বিরুদ্ধে দুই বার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে অনুমোদিত হয়েছে। এ বার তা সেনেটে গেছে। ট্রাম্প দায়িত্ব ছাড়ার পর সেনেট সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবে ও ভোটাভুটি হবে। সেনেটে প্রস্তাব অনুমোদিত হলে তিনি আর কখনো প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি করোনা নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেননি। তাঁর আমলে অর্থনীতি বেহাল হয়েছে। কর্মহীনদের সংখ্যা বেড়েছে। মাত্র ৩৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং নিয়ে তিনি হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিচ্ছেন। ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, ”আমাদের কর্মসূচি দক্ষিণ বা বামপন্থী ছিল না, রিপাবলিকান অথবা ডেমোক্র্যাটও নয়, এটা ছিল দেশের ভালো করার নীতি, পুরো দেশের ভালো করা।”