বসনিয়ার ভেলিকা ক্লাদুসার একটি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশ’ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা। সোমবার তাদের খাবার ও স্লিপিং ব্যাগ সরবরাহ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম।
ইউরোপে অভিবাসী হওয়ার প্রত্যাশায় বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তবর্তী ভেলিকা ক্লাদুসার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন এসব শরণার্থীরা। তাদের অনেকেই সেখানকার একটি জঙ্গলে মানবেতর পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন গত কয়েক মাস ধরে। কেমন আছেন তারা তা জানতে সেখানে আছেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম ও অনুপম দেব কানুনজ্ঞ। রবিবার সকালে তারা জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথাব লেছেন।
সেখানে অবস্থানরতরা জানিয়েছেন, তাদের অবর্ণনীয় কষ্টের কথা। কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে রবিবার পর্যন্ত তারা কোনও সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন। তবে সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আইওএম-এর একটি দল তাদের মানবিক সহায়তা দিয়েছে। দেওয়া হয়েছে খাবার ও স্লিপিং ব্যাগ। বাংলাদেশিসহ প্রায় ৬০০ জনকে এই সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আব্দুল হান্নান নামে একজন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এর আগে আমরা কখনও এ রকম সহযোগিতা পাইনি। এই প্রথম দেওয়া হয়েছে।’ তবে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও সেখানকার আইওএম-এর কর্মীরা ডয়চে ভেলেকে কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, ভেলিকা ক্লাদুসায় আইওএম-এর একটি আশ্রয় ক্যাম্প রয়েছে। তবে সেখানে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন জঙ্গলে এবং পাশের একটি পরিত্যাক্ত কারখানায় আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিরা। তারা প্রত্যেকেই মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ হয়ে বসনিয়ায় পৌঁছেছেন। উদ্দেশ্য ক্রোয়েশিয়া হয়ে ইটালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের কোনও দেশে অভিবাসী হওয়া। কিন্তু সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ক্রোয়েশিয়া পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা। ইউরোপে পৌঁছাতে দালালদেরও কয়েক লাখ টাকা করে দিতে হয়েছে তাদের।
সূত্র: ডিডব্লিউ।