চলতি মাসের ১৬ মার্চ দুপুরে রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকার মশিউর রহমান তার দোকানের কর্মচারীকে ইস্টার্ন প্লাজা থেকে চালানসহ Symphony ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের ৪৫৭টি মোবাইল কার্টুনসহ রিকশাযোগে পাঠায় মোতালেব প্লাজা মার্কেটে ডেলিভারি দেয়ার জন্য।
রিকশায় মালামাল তুলে দোকানের কর্মচারী রিকশার সাথে পায়ে হেঁটে মোতালেব প্লাজার দিকে এগোতে থাকে। কিছুক্ষণ পর সনিক্রসিং মোড়ে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ২ জন লোক তার সামনে তাদের মোবাইল সেট ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে দিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করে। এই সুযোগে রিকশাচালক উক্ত মোবাইল কার্টুন নিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সে দেখতে পায় অজ্ঞাতনামা ২জন লোকও পালিয়ে গেছে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা রিকশাওয়ালার সাথে পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে দোকান কর্মচারীর সাথে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মোবাইলগুলো আত্মসাৎ করে। উক্ত ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
এরপর ঘটনার তদন্ত নামে কলাবাগান থানা পুলিশ। ১৯ মার্চ ও ২০ মার্চ দুদিন ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার পাগলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কলাবাগান থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ শাহাদাত হোসেন, আবুল হাসনাত ও মোঃ মামনুর রশিদ। এসময় তাদের হেফাজত থেকে Symphony ব্রান্ডের বিভিন্ন মডেলের ৩৩২ টি মোবাইল সেট উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।
এ সংক্রান্তে রমনা বিভাগের (অপরাধ) নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান ডিএমপি নিউজকে বলেন, মামলা রুজুর পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত শাহাদাতের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর গত ১৯ মার্চ শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শাহাদাতের দেয়া তথ্য মতে ১৬৭ পিস মোবাইল হ্যান্ডসেটসহ আবুল হাসনাতকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আবুল হাসনাতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৬৫ টি মোবাইল সেটসহ মামুনুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা চোরাই মালামাল কেনাবেচার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।