ইউক্রেন ও রাশিয়া শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এমনটি জানিয়েছে গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
দুই পক্ষ ১৫টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করছে। সোমবার এ ১৫টি পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, দুই পক্ষ আলোচনা করেছে যদি ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দেয় তাহলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবে।
এরপর ইউক্রেন তাদের মিত্র বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের কাছ থেকে নিরাপত্তার জন্য কোনো অস্ত্র না নেওয়ার অঙ্গীকার করে তাহলে রাশিয়া নিজেদের সৈন্যদের ইউক্রেন থেকে প্রত্যাহার করে নেবে।
ইউক্রেন যদি রাশিয়ার শর্ত মেনে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র না নেয় তাহলে বড় ক্ষতি হবে তুরস্কের। কারণ তারা ইউক্রেনে বিপুল পরিমাণ অর্থের অস্ত্র রপ্তানি করে থাকে।
গণমাধ্যম মিডল ইস্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই ৫ কোটি ৯০ ডলারের অস্ত্র কিনেছে ইউক্রেন। ইউক্রেন ২০২১ সালে তুরস্কের কাছ থেকে ৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের অস্ত্র কিনেছিল।
আঙ্কারার সঙ্গে কিয়েভের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে।
ইতিমধ্যে ২০টি তুর্কি সামরিক ড্রোন বায়রাকতার টিবি২ কিনেছে ইউক্রেন।
রুশ অভিযান শুরু ঠিক আগ মুহুর্তে আরও ১৬টি ড্রোন কেনার জন্য জন্য অর্ডার দেয় ইউক্রেন।
সুসম্পর্কের কারণে প্রতিটি বায়রাকতার টিবি২ সামরিক ড্রোনে ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে ইউক্রেনের কাছে ৭০ লাখ ডলারে বিক্রি করছে তুরস্ক।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সিয়ে রেজনিকভ সম্প্রতি আরও তুর্কি এ সামরিক ড্রোন কিনবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সূত্র: আল জাজিরা